প্রায় প্রতি বছরই নানা কারণে বাংলাদেশে এসে থাকেন বিদেশিরা। তাই বিদেশিদের কথা মাথায় রেখে তাদের যাতে কোনো সমস্যার মুখে পড়তে না হয় এজন্য আগে থেকেই বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করে রেখেছে সরকার। তবে এরপরও তারা নানা অভিযোগ করে যাচ্ছেন বলে এবার মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
ইমিগ্রেশনে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়েও বিদেশিরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে বিরূপ প্রতিবেদন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত কমিটির আগের বৈঠকে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে আলোচনা হয় এবং সেগুলো বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে এসব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি পৃথক সেল গঠনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। ফলে আজকের বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সংসদীয় কমিটিকে জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালু হতে পারে। তিনি বলেন, “ঢাকা বিমানবন্দরে সাদা চামড়া, বিশেষ করে যারা নিউইয়র্ক থেকে নিরাপত্তা পরিদর্শনের জন্য এসেছেন, তাদের কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাই তারা ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন দিয়েছে।” অন্যদিকে অভিবাসী শ্রমিকরা দেশে এলে বিমানবন্দরে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। এ কারণে ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট বিলম্বিত হচ্ছে।
বর্তমান আধুনিক যুগে নিরাপদ ও দ্রুত এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আকাশ পথের কোনো বিকল্প দেখছেন না যাত্রীরা। তাই যাত্রীদের যাতে কোনো ধরণের হয়রানি করা না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে সরকার।