বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই খল অভিনেত্রী। দক্ষ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সকলের মন জয় করেছেন। তবে এই অভিনেত্রী বেশিভাগ সময় খারাপ মহিলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যার কারণে অনেকে মনে করেন বাস্তব জিবনেও হয়তো তিনি খুব একটা ভালো না। কিন্তু তা আসলে মটেও ঠিক নয়। বাস্তব জিবনে এই অভিনেত্রী একেবারে সাদামাটা জীবন যাপন করেন। আর আট দশটা নারীর মতোই তিনি চলাফেরা করেন। এমনকি তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি বাসায় এসে সকল কাজ করেন।
জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন রিনা খান। চার দশকের ক্যারিয়ারে এই অভিনেত্রীকে পাওয়া গেছে নানামাত্রিক কূট চরিত্রে।
আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন।
রিনা খানের আসল নাম সেলিমা সুলতানা। চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত তিনি। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের জন্য টেনশন। এই বুঝি কোনো কূটচাল দিয়ে সর্ব’নাশ করলেন কারও।
তবে ব্যক্তিজীবনে রিনা খান অন্য মানুষ। সাদামাটা এক জীবন তার আর দশটা নারীর মতোই। শান্ত, নিভৃতচারী কিন্তু মিশুক। একজন আদর্শ মা, সুগৃহিণী। তার দুই ছেলে প্রকৌশলী। জার্মানে থাকেন।
১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সোহাগ মিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক ঘটে রিনা খানের। এরপর চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ছয়শ’রও অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। খলচরিত্রে সাফল্য পেলেও পজিটিভ চরিত্রেও দেখা গেছে তাকে সাবলীল অভিনয়ে।
রিনা খানের ভাষ্যে, ‘আমার অধিকাংশ চলচ্চিত্রের কাজ ছিল খল অভিনেত্রী হিসেবে। অন্তত ৫০টি ছবিতে পজিটিভ চরিত্রে কাজ করেছি। এর মধ্যে নায়িকার ভূমিকায়ও অভিনয় করেছি বেশ কয়েকটি ছবিতে। ‘প্রেম যমুনা’, ‘মেঘ বিজলি বাদল’ এমনকি বুলবুল আহমেদের ‘মহানায়ক’ ছবিতেও আমি সহ-নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছি।’
এই খল অভিনেত্রীকে আগের মতো সিনেমায় নিয়মিত দেখা যায় না। চলমান খারাপ পরিস্থিতির কারণে তিনি বেশিভাগ সময় বাসায় সময় কাটান। তবে এই অভিনেত্রী একটা সময় সিনেমা থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। মূলত চলচ্চিত্রে খারাপ দৃশ্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তিনি সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে আবারও ফিরেছেন। কিন্তু বর্তমান সময় এই অভিনেত্রীকে খুব কম দেখা যায়। তিনি বাসায় থেকে সংসারের কাজকর্ম করছেন।