কুয়াকাটা সমুদ্র ভ্রমণ করতে গিয়ে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নামেন সিরাজ শিকদার নামের এক যুবক। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার পর তার জীবনে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। এখন তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। ঐ যুবক জানান, তিনি কয়েক ঘন্টা সমুদ্রে ভেসে ছিলেন। এরপর জেলেদের কারণে তিনি জীবনে রক্ষা পান।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের মিডিয়ার সামনে ফিরোজের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে একই দিন সকালে বড় ভাই মাসুম শিকদারকে নিয়ে বেনাপোল বন্দর থেকে মহিপুরে আসেন ফিরোজ।
ভারত থেকে আসা ব্যক্তি হলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মৃত্যু মিলন শিকদারের ছেলে ফিরোজ শিকদার (২৭)।
ফিরোজ শিকদার জানান, গত ২৬ মে দুপুরে তিনি সাগরে গোসল করতে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে প্রায় ২০ মিনিট গভীর সাগরে ভাসতে থাকেন। তারপর একটি কলা গাছের কাছে পৌঁছান। এ সময় স্পিড-বোটের গতিতে কলাগাছ থেকে সমুদ্রের গভীরে চলে যায়। এরমধ্যে রাত হয়ে গেলে এর কোনো এক সময় একটি মাছধরার ট্রলারের জেলেরা তাদের ট্রলারে তুলে নেয়। তার মতে, ট্রলারটি ভারতীয়।
তিনি আরও জানান, একদিন পর ট্রলারের জেলেরা তাকে ভারতীয় নৌবাহি’নীর কাছে হস্তান্তর করে। ভারতের চেন্নাইতে একদিনের হেফাজতে থাকার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা মোবাইল ফোন কেনাসহ আকাশপথে কলকাতায় পৌঁছানোর সব ব্যবস্থা করে। এদিকে বিমান ও ট্রেনের যাত্রী হয়ে বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছানোর জন্য মোবাইল ফোন কেনার ক্যাশ মেমো, হাতে থাকা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ফিরোজ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ইন্সপেক্টর মো. ইলিয়াস জানান, সীমান্ত এলাকায় তাকে দেখতে পেয়ে তার পরিবার তাকে জানায় যে, তার নামে মহিপুর থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাই মহিপুর থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। পরে লিখিত বক্তব্য দিয়ে তাকে পরিবারের হেফাজতে মহিপুর থানায় প্রেরণ করি।
আবুল খায়ের যিনি মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে রয়েছেন, তিনি বলেন, ফিরোজ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে সাগরের পানির তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে আদৌ কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। তবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মহিপুরে তিনি প্রবেশ করেন, এ বিষয়টি সত্য। তার ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে, এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে পরবর্তীতে কী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।