সাকিব ( Shakib ) আল হাসান হলেন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) একজন সেরা ক্রিকেটার এবং বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ক্রিকেটে তার অবদান অপরসীম। তার অসাধারণ খেলার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে মাঝে মাঝেই নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে। এদিকে মুমিনুল হলেন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) জাতীয় দলের অন্যতম বামহাতি একজন খেলোয়াড়। তিনি তার চমকপ্রদ খেলা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে যে মুমিনুল বলেছেন সাকিব ( Shakib ) দলে থাকলে তার নাকি হাসি পায়। আর এ কথাটা মুমিনুল হাসিমুখেই বলে ফেললেন এক সাক্ষাতকারে।
টেস্টে সাকিব ( Shakib ) আল হাসানকে দেখাটা আজকাল অনেকটাই ডুমুরের ফুুলের ( fig flowers ) মতো বিরল ঘটনা। সাদা বলের এই গেম চেঞ্জার লাল বলের প্রতি কেন যেন অতোটা আগ্রহী নন। তার টেস্ট খেলা, না খেলা নিয়ে অনেক আক্ষেপ যেমন আছে; তেমন আছে নানা সমালোচনাও। নিন্দুকরা তো কথায় কথায় সাকিব ( Shakib )কে তোলেন কাঠগড়ায়। অনেকেই আবার আক্ষেপ করে বলেন, ক্যারিয়ারে একশ’টা টেস্ট খেলতে পারলেই সাকিব ( Shakib ) গ্যারি সোবার্সদের মতো কিংবদন্তি অলরাউন্ডারদের এই ফরম্যাটে নিশ্চিত টপকে যেতেন। চলে যেতেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে সাকিব ( Shakib )ের সেসবে হেলদোল নেই, তিনি ক্রিকেটের লংগার ভার্সন থেকে সব সময় নিজেকে দূরেই রাখতে চান। তাই মুমিনুল হকও ( Muminul Haque ) তার অধিনায়কত্বের আমলে খু্ব একটা সাকিব ( Shakib )কে দলে পাননি। অধিকাংশ সময়ই মুমিনুল মাঠে নেমেছেন সাকিব ( Shakib ) ছাড়া। তাই সাকিব ( Shakib ) দলে থাকবেন না এটাই তার কাছে স্বাভাবিক ঠেকছে।
আজ শুক্রবার ( Friday ) সাউথ আফ্রিকার ডারবানে ( Durban, South Africa ) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মুমিনুল সাকিব ( Shakib ) আল হাসানের দলে ফেরা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন সোজা সাপ্টা ভাষায়। কোনো রাখঢাক না রেখেই বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় উনি না থাকাটা, প্রায় সময়ই তো থাকে না। থাকাটাই আমার কাছে হাসি পায় ( হেসে ফেলেন মুমিনুল)। উনি থাকলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়। আমার টিম কম্বিনেশন সহজ হয়ে যায়, এক্সট্রা একজন বোলার এবং এক্সট্রা একজন ব্যাটার নিতে হয় না। এই বিষয়গুলো আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
শুরুতে সাকিব ( Shakib ) সাউথ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ খেলতে চাননি। এটা আইপিএলের নিলামের আগের ঘটনা। নিলাম শেষে সাকিব ( Shakib ) দল না পাওয়ায় বিসিবি ( BCB ) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, সাউথ আফ্রিকায় সাকিব ( Shakib ) সব ফরম্যাটেই খেলবেন। এরপর আবার নাটকীয়তা। সাকিব ( Shakib ) জানালেন, তিনি আসলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মতো শারীরিক ও মানসিক অবস্থাতেই নাই! তারপর বিসিবি ( BCB ) সভাপতির সাথে ফের বৈঠক, এবার টেস্ট-ওয়ানডে দুই ফরম্যাটে খেলবেন এমন ইঙ্গিত দিয়েই সাউথ আফ্রিকার বিমান ধরেছিলেন সাকিব ( Shakib )। তবে সেখানেও মুমিনুলের বিধি বাম! সাকিব ( Shakib )ের পরিবারের চার সদস্য অসুস্থ থাকায় তাকে ওয়ানডে সিরিজ খেলেই দেশে ফিরতে হয়েছে। প্রথম টেস্টে সাকিব ( Shakib )কে পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা নিশ্চিত। তবে শোনা যাচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে আবারও সাউথ আফ্রিকা যেতে পারেন সাকিব ( Shakib )।
বর্তমান সময়ে টেস্ট ম্যাচে সাকিব ( Shakib )কে খেলতে দেখা যায় না বললেই চলে। এবার আফ্রিকাতে একসাথে সাকিব ( Shakib ) আর মুমিনুল টেস্ট খেলেছেন। সাকিব ( Shakib )কে দেখে মুমিনুল অনেকটাই ভরসা পান। কারন সাকিব ( Shakib ) একটা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু। সাকিব ( Shakib ) আর মুমিনুল দুজনেই আমাদের দেশের গর্ব। মুমিনুল আর সাকিব ( Shakib ) দুজনেই হলেন বামহাতি ব্যাটসম্যান ও বোলার। তাদের ডেক্সট্রয়াস দক্ষতা বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ক্রিকেটকে আরো মহিমান্বিত করেছে।