মাগুরার শ্রীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় গোলাম মোরশেদ টুকু (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছেন। আজ রবিবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় তাঁকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোরশেদের অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসানকে মনোনয়ন দেওয়ার পর তিনি নিজ এলাকায় আনন্দ মিছিল করেন। এ কারণে প্রতিপক্ষ আব্দুল হালিম চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে হাতুড়িপেটা করেছেন।
তবে অভিযুক্ত গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলছেন, মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত না।
গোলাম মোরশেদ টুকু উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবাধ গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। তিনি গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন।
আহত গোলাম মোরশেদ জানান, রবিবার বিকেলে সে স্থানীয় লাঙ্গলবাধ বাজার কৃষি ব্যাংক থেকে গ্রামে ফিরছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে লাঙ্গলবাধ বাজার এলাকায় হালিম চেয়ারম্যানের সমর্থকরা পূর্ব বিরোধের জের হাতুড়ি দিয়ে পেটানো শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।
টুকু জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টুকুসহ তার লোকজন অন্য একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন করেন। যা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। ২৬ নভেম্বর মিছিল দেওয়ার ঘটনাকে ইস্যু হিসেবে নিয়ে হালিম চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা এ হামলা চালায়। হামলা চালানোর সময় তাদের বলতে শোনা গেছে ‘চেয়ারম্যান হতি চাস, এ কারণে নতুন নেতার মিছিল দিয়ে নেতা হওয়ার সুযোগ খুঁজতিছিস। তোকে নেতা বানাচ্ছি’।
গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আমি কিংবা আমার কোনো লোক জড়িত নয়। সে (টুকু) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এলাকার তার অনেক শত্রু থাকতে পারে। ঘটনার তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
আব্দুল হালিম বলেন, নৌকার প্রার্থীর মিছিল বের করার কারণে টুকুর ওপর হামলা হয়েছে এমন তথ্য সঠিক নয়। কারণ ইউনিয়নে এ ধরনের রাজনৈতিক কোনো অবস্থা নেই।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, লাঙ্গলবাধ এলাকায় গোলাম মোরশেদ টুকু নামে এক যুবক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।