মাগুরা-১ আসনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় চলছে আলোচনা। ওই আসন থেকে বাদ পড়েছেন আলোচিত এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।
সাকিবের মনোনয়ন নিয়ে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকেই। তবে এমপি শিখর তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব সাকিব আল হাসানকে সমর্থন করা। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়েও তাই করব।
আওয়ামী লীগের মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি আবদুল ফাত্তাহ বলেন, দলীয় বিবেচনায় কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু জানান, দলীয় সভা ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে মন্তব্য করতে চান না।
সাকিবের মনোনয়ন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওহিদুর রহমান জানান, মাগুরায় সাকিবের মতো একজন আন্তর্জাতিক তারকা মনোনয়ন পাওয়ায় তিনি খুশি।
তিনি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তবে অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখারুল ইসলাম শাকিল বলেন, ‘সাকিবের মনোনয়নে আমি সন্তুষ্ট নই। রাজনীতির মাঠে সে একেবারেই নতুন। তৃণমূল মানুষের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। এত অল্প সময়ের ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ মাগুরা-১ আসনে সাকিবকে মনোনয়ন দেওয়া মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়।
‘
শাখারুল ইসলাম বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্তের কারণে আগামী পাঁচ বছরে আমরা সাংগঠনিকভাবে অনেক পিছিয়ে যাব। কারণ রাজনীতির বাইরে জেলা সদরে অরাজনৈতিক ব্যক্তির মনোনয়নের ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সংগঠন। সাকিবের হঠাৎ মনোনয়নের ঘোষণায় এমন অবস্থা হয়েছে যে সাধারণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথাই বলা যাচ্ছে না।’
সাকিবের ছোটবেলার ক্রিকেট কোচ ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। শিষ্যের মনোনয়ন পাওয়াকে তিনি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। সাদ্দামের মতে, ‘ক্রিকেটে সাকিব নিজেকে প্রমাণ করেছে। জনপ্রতিনিধি হয়ে এবার সাধারণ মানুষ ও দেশের ক্রিকেটের জন্য অবদান রাখতে পারবে।’
সাকিবের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজা কুটিল বলেন, আমার ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি যেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাগুরার মানুষের সেবা করতে পারেন সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।