সাকিব আল হাসান দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না, এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোঃ মঈনুল ইসলাম বলেন, সবকিছু বিবেচনা করেই এ বিষয়ে অগ্রসর হবো।
মইনুল ইসলাম শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, ‘মামলা হলেই কাউকে গ্রেফতার করা হবে না, এটাই মূল কথা। সাকিবের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিয়ে নিলাম কিংবা কিছু করে ফেললাম, বিষয়টি এমন হবে না।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দেশে ফেরার পর নিরাপত্তার হুমকি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেও কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ।’
গত ৫ আগস্ট গার্মেন্টস কর্মী রুবেলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট নিহত রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘মামলা হলেই কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। আবার মামলায় কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তিনি আইনের বাইরে থাকবে, সেটাও ঠিক না। কারও বিরুদ্ধে মামলা হলে, সেখানে যার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
সাকিবের মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা দেখছেন উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এখন তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিব আল হাসান এখনো দেশে ফেরেননি। কানপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি বদলে গেছে। তবে চাপের মধ্যে এত দিন তার মনোযোগ মাঠেই রেখেছেন সাকিব।
পুলিশের আইজিপি বলেন, “সাকিব আল হাসান একজন বড় খেলোয়াড়। ফলে আমরা যা কিছু করি না কেন, সেটা আইনের ধারাবাহিকতা রেখেই করবো। সবকিছু বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতা-কর্মী এবং সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই খুনসংক্রান্ত।
ব্যাপক হারে খুনের মামলা এবং তার ভিত্তিতে গ্রেফতার ও পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা নিয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিক মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।