জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুতে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ইয়াবিপ্রবি) শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা দ্বীপ বহিষ্কারের আগেই স্ক্রিনশট তৈরি করে প্রোপাগোন্ডা ছড়ানোর জন্য যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা দ্বীপ বলেন, একটি অসাধু মহল আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। গতকাল ভোরের পাতার সাংবাদিক উৎপল দাস তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আমার নামে একটি ভুয়া স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। বিষয়টি আমার নজরে আসার সাথে সাথে আমি উৎপল দাসের সাথে কথা বলি কিন্তু তিনি আমাকে কোন উত্তর দিতে পারেননি, তিনি শুধু বললেন কেউ তাকে দিয়েছে যার জন্য আমি আজ যশোর সদর থানায় ফোন করে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর মধ্যে কেউ এমন পোস্ট দেখেননি, তাহলে তিনি একা কীভাবে এই পোস্ট দেখলেন বা পেলেন, ভাবছি। এছাড়াও, আপনি যদি স্ক্রিনশটটি ঘনিষ্ঠভাবে দেখেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে এটি সম্পূর্ণ নকল। তাছাড়া সাঈদীর মৃত্যুর কুড়ি দিন পরও কেন ভাইরাল হল এই পোস্ট? আমি মনে করি, ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী নেতাদের যখন সাইদীর নামে পোস্ট করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, তখন একটি অসাধু মহল ষড়যন্ত্র করে আমার নামে একটি ভুয়া আইডি খুলে এই জঘন্য কাজ করেছে। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক আমাকে না জানিয়ে কেন বহিষ্কার করছেন তা আমি জানি না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা বলেন, গতকাল রাতে ঢাকার এক সাংবাদিকের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারি, আমাদের ইয়াবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল কবির দীপকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা ব্যবস্থা নিতে বলেছে। তাদের নির্দেশনায় আমরা তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে তদন্ত করতে বলেছি, তারা ঘটনা যাচাই-বাছাই করে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
ইকরামুল কবির দ্বীপ সম্পর্কে পোস্টকারী উৎপল দাসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ছবিটি আমাকে কেউ দিয়েছে, তাই আমি আমার নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছি। পরে, ভিকটিম আমাকে অনুরোধ করলে, আমি তার অনুরোধে পোস্টটি মুছে দিয়েছিলাম। এ বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।