‘রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। আসামিরা সবাই কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগরের অনুসারী। মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ক্যাম্পাসের গেটে এক ছাত্রকে মারধরের কথা শুনে এগিয়ে আসেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক ও ঢাকা ওয়েভ-এর কলেজ প্রতিনিধি শীতাংশু ভৌমিক অংকুর ও ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি পার্থ সাহা।
এ সময় তারা মারধরের ছবি তোলার চেষ্টা করলে তাদের ফোন কেড়ে নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের মারধর শুরু করে। এদিকে ভৌমিক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাংবাদিক দেখার টাইম নাই’ বলে আরো বেশি মারধর করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী মেহেদী হাসান পলাশ, শেখ সুমন, ফাহিম তাজ, তানজিদ আহমেদ বাবু, রাতুল হাসান, তামিম মোল্লাসহ প্রায় ১০-১৫ জন এই দুই সাংবাদিককে মারধর করেন।
মারধরের শিকার শিতাংশু ভৌমিক অঙ্কুর বলেন, “ক্যাম্পাসের গেটে গোলমাল দেখে পার্থ ও আমি এগিয়ে যাই।
আমি গিয়ে দেখলাম তারা এক কলেজ ছাত্রকে মারধর করছে। ছবি তুলতে গেলে আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা আমাকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় ফেলে মারধর করে।
পার্থ সাহা বলেন, ‘আমরা ছবি তুলতে গেলে ওরা শীতাংশুকে মারধর শুরু করে।’
তখন আমি বললাম, শিতাংশু সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারি, তাকে মারছেন কেন? এ কথা বলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে।
ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহমুদ জানান, ওই দুই সাংবাদিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে একজনের অবস্থা আশ”ঙ্কাজনক। মাথায় ও তলপেটে আঘাতের কারণে শ্বাসকষ্টের কারণে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইনজেকশনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হয়েছে।
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ আমেনা বেগম মারধরের বিষয়ে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।