নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তুষার আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে গামছা ঝুলিয়ে আ’ত্ম’হ”ত্যা’র চেষ্টা করেন তুষার। পরে কারারক্ষীরা টের পেয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুষার মারা যায়।
নিহত তুষার সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, বন্দরের সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলার আসামি তুষার। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নামাজ পড়ছিলেন; এমনকি তাহাজ্জুদের নামাজও পড়তেন বলে অন্যান্য বন্দিদের সূত্রে জানা গেছে। সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলাটির বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিল। যে কারণে তিনি বিচলিত ছিলেন। তিনি তার মা ও স্ত্রীসহ তার পাশে থাকা অপরাপর বন্দিদের কাছেও মাফ চেয়েছিলেন।
পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে সেল থেকে বেরিয়ে যান। নারায়ণগঞ্জ কারাগারে একটি ৬ তলা ভবন রয়েছে যেখানে ৪র্থ তলা পর্যন্ত বন্দীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে কোনো বন্দী রাখা হয় না। পরে সন্ধ্যায় কারারক্ষীরা যখন সব বন্দিকে তাদের সেলে ফেরাতে ব্যস্ত তখন তুষার গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তার চিৎকার শুনে কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর রাতে উপজেলার আদমপুর এলাকায় সাংবাদিক ইলিয়াস বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কু’পি’য়ে ‘হ”ত্যা’ করে। নিহত ইলিয়াছ স্থানীয় দৈনিক বিজয় পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি ছিলেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তুষারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়।