বাংলাদের তুমুল জনপ্রিয়া অভিনেত্রী জয়া আহসান। তার চেহারার ও অসাধারন চেয়ারা কারনে তিনি খুব অল্প সময়ে দেশের মানুষের কাছে জন প্রিয় হয়ে উঠে। সম্প্রতি তার একটা সিনেমা মুক্তি পেতে চলেছে। সেই উপলক্ষে এক গন মাধ্যমের কর্মী তার সাথে সাক্ষাতকার করেন তিনি। সেখানে তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন তারা। সেই প্রশ্নে জাবাবে ফের আলোচানা আসেন তিনি।
সাংবাদিকের ওই প্রশ্নটি ছিলো, একজন শিল্পীর স্ত্রী হওয়া কি একজন শিল্পীর স্বামী হওয়ার মতো কঠিন? ছবিটি মুক্তির আগে একটি ভারতীয় আউটলেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়াকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “আমার স্বামী নেই, এটা কিভাবে বলবো! কিন্তু আমি মনে করি, শুধু স্বামী বা স্ত্রী নয়, দম্পতি হওয়াটা খুব কঠিন। প্রত্যেক শিল্পীর জীবনেই অনেক উত্থান-পতন লাগে। তাদের পরিচালনা করার জন্য একটি শক্তিশালী হাত।”
এর আগে কবি জীবনানন্দ দাশের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে জয়া বলেছিলেন, “কবির স্ত্রী হওয়া খুব কঠিন। তিনিও জীবনানন্দ দাশের মতো একজন কবির স্ত্রী। প্রথমে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। এছাড়াও, ব্রাত্য বসু একজন কবির স্ত্রী। যথেষ্ট বড় অভিনেতা। লাবণ্য প্রভাকে উজ্জ্বল করার জন্য আমি আমার সেরাটা দিয়েছি। বাকিটা দর্শকদের।’
কলকাতার অভিনেতা ব্রাত্য বসু ও জয়া আহসান অভিনীত ‘ঝাড়া পালক’ ছবির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের বিবাহিত জীবনের ধূসর গল্প। এখানে কমনীয়তার গল্প এবং জীবনের জাগতিক চাপ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে সে সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপট, কবিদের দরবারে জীবনানন্দ দাশের অবস্থান এবং কবির জীবন না পাওয়ার দ্বন্দ্ব।
বাংলা সাহিত্যের ‘নিঃসঙ্গ কবি’ হিসেবে পরিচিত জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নামানুসারে ছবিটির নাম ‘ঝাড়া পালক’। এখানে তরুণ জীবনানন্দ দাশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জী। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবশঙ্কর হালদার, সুপ্রিয়া দত্ত, বিপ্লব ব্যানার্জী, কৌশিক সেন প্রমুখ।