আসন্ন ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই রীতিমতো নানা বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীরদের। আর এরই জের ধরে এবার বিপাকে পড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান শুরু করে পুলিশের একটি দল।
এরপর সাড়ে চারটার দিকে ফখরুল সেখানে যান। এ সময় তিনি প্রবেশের চেষ্টা করলেও পুলিশ তাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। প্রায় ২০ মিনিট পর পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়। তবে কার্যালয়ে প্রবেশ না করে সামনে বসে পড়েন তিনি। পরে রাত ৮টার দিকে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। তারা (সরকার) ভয়ঙ্কর কাজ করেছে। সমাবেশ বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
ফখরুল বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে ডিএমপি কমিশনার আমাকে নয়াপল্টনে আসতে বলেছেন। কিন্তু আসার পর আমাকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ সময় এক সাংবাদিক মহাসচিবকে প্রশ্ন করেন- এ পর্যন্ত বিএনপির কতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এমন প্রশ্ন শুনে রেগে যান মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি বলতে পারব না, আপনি কে, কতদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন?
এরপর আবারও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে থাকেন মির্জা ফখরুল। এরই মধ্যে আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- একটি রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানকে কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল আবারও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ওরে ধুর, আপনি বারবার একই প্রশ্ন করছেন, এত দিন শুনলেন না, আমি কী বললাম?
এদিকে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন ও আশপাশের পরিবেশ অনেকটা শান্ত রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে বিজয়নগর জংশনে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে বাধা দেয়।
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই মকবুল হোসেন নাম এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিএনপির সমাবেশ পন্ড করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।