বাংলাদেশের প্রেক্ষপটে ক্ষমতার উৎস জনগন। দেশের কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে সেটা নির্বাচন করবে দেশের জনগন। অন্য কারর অধিকার নেই সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর এটাই গনতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় দেশের জনগন তার ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারছে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এজেন্ট বাংলাদেশের জনগন, সেই জনগনকে নেতৃত্ব দেবে রাজনৈতিক নেতা এবং দল।এইটা বেইসিক।
আপনি সেলিব্রিটি সাংবাদিক, ফেসবুক সেলিব্রিটি, বুদ্ধিজীবী, কর্মী এবং টক শো সেলিব্রিটি দিয়ে রাজনৈতিক দল এবং নেতার ভূমিকা প্রতিস্থাপন করতে পারবেন না। এইটা প্লেইন এন্ড সিম্পল।
সাংবাদিকেরা যখন রাজনীতিতে বাম হাত ঢুকায় তখন ওয়ান ইলেভেনের জন্ম হয়।
হাসিনার ফ্যাসিবাদ নিয়ে আমরা এত চিৎকার করি। তবে এই ফ্যাসিবাদী শাসনের ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমি প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের সমালোচনা করি না।
মাহফুজ আনাম আর মতিউর রহমান যারা কিনা ওয়ান ইলেভেনের রুপকার ছিলো তারা আজ সুশীল হয়ে বসে আছে। অনেকেই আবার নতুন মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম হওয়ার চেষ্টা করছেন। দেশের হাউন মারা স্কোরে হাসিনা দশ পেলে, মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনাম পাবে আট।
আবার আরেকটা হৌন মারা খাইতে না চাইলে নতুন মাহফুজ আনাম আর মতিউর রহমান তৈরি কইরেন না ভায়েরা। আজ ন বুঝলে বুঝবেন কাইল, পরে কিন্তু ছাপা চাপড়াইবেন আর পাইরবেইন গাইল।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতা দীর্ঘ স্থায়ী করতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। আর এসব কারনে দেশের জনগন তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করে তাদের পছুন্দের প্রার্থী নির্বাচীত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।