কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেননি।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর লিলি নিকোলস সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচনের পর কানাডার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কানাডার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি তা এড়িয়ে চলে যান।
কানাডার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের এবং বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। এর বহুমাত্রিকতা রয়েছে। আমরা শক্তিশালী মানুষে-মানুষে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। উন্নয়ন সহযোগিতার কথাও বলেছি।
তিনি বলেন,”ভাল বন্ধু হিসাবে, আমরা প্রায়ই মত প্রকাশের স্বাধীনতা, একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ, বিকল্প মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলি,”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কানাডা সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ ৯ জানুয়ারি একটি বিবৃতি জারি করে। ওই বিবৃতিতে দেশটি বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। এছাড়া উত্তর আমেরিকার এই দেশটি নির্বাচনের আগে ও পরে স/হিংসতার ঘটনার নিন্দা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা করে এবং সমর্থন করে।” নির্বাচনের আগে ও সময় যে ভয়ভীতি ও স/হিংসতা হয়েছিল তার নিন্দা করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, “স/হিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের সমবেদনা।”