Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সাংবাদিকদের যোগ্যতা নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

সাংবাদিকদের যোগ্যতা নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

দেশের ভারসম্য রক্ষার কাজে পুলিশ ( police ), নাগরিক, মন্ত্রিদের পাশাপাশি সাংবাদিক দের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের জন্য অনেক সংবাদিকের আত্মত্যাগের ঘটনাও সারাদেশের মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি এই সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রীর বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার উদ্যোগ সকল সাংবাদিকদের উৎসাহ যোগাবে।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের সকল অনিয়ম দায়ীদের নজরে আনতে তাদের কাজ করেছেন। সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে তারা যে ভূমিকা পালন করে তা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের মেধা ও যোগ্যতার কোনো কমতি নেই। এমন অনেক সাংবাদিক আছেন যারা বিসিএস পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ পদে উন্নীত হতে পারতেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রথমবারের মতো বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজিত বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি ( International Convention City ) বসুন্ধরায় আইসিসিবি ( ICCB ) গণমাধ্যমের ১১ সাংবাদিকের হাতে পুরস্কারের অর্থ, সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। হাসান মাহমুদ। একই অনুষ্ঠানে মফস্বলের সাংবাদিকতায় অবদান রাখা ৬৪ জন প্রবীণ ও প্রতিভাবান সাংবাদিককে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকারী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, “আমরা সারা দেশের প্রবীণ এবং প্রতিভাবান সাংবাদিকদের সম্মানিত করতে পেরে গর্বিত। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার পদক্ষেপ দেশের নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের অনুপ্রাণিত করবে। এ আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আগামী বছর ২৫ জন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। আর তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিবছর এই আয়োজন করবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, জুরি প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রহমান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা বুবলী।

গত বছর দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তাদের মধ্যে বিজয়ীরা হলেন- ডেইলি স্টার রিপোর্টার আহমদ ইশতিয়াক (প্রিন্ট), মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক কাওসার সোহেলী (টেলিভিশন), অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগে জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সিনিয়র রিপোর্টার সালাহ উদ্দিন জসিম (অনলাইন)। চৌধুরী (প্রিন্ট), জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার জান্নাতুল ফেরদৌসী (টেলিভিশন), নিউজ বাংলা২৪ ডটকমের ফ্রিল্যান্সার জেসমিন পাপড়ি (অনলাইন), নারী ও শিশু বিভাগে সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব আহমেদ (প্রিন্ট), আনন্দ টিভির রিপোর্টার শওকত সাগর (আদনান রহমান (অনলাইন)। , পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার, মাজাহারুল ইসলাম (টেলিভিশন), অনুসন্ধানী তথ্যচিত্রে মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক এবং ফটোগ্রাফিতে প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক দীপু মালাকার।তাদের প্রত্যেককে নগদ আড়াই লাখ টাকা, একটি স্মারক ও একটি সনদ দেওয়া হয়।

সাংবাদিকদের জীবন সম্পর্কে এক সংবাদিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার উত্তরে বলেন, সাংবাদিকতা একটি ঝুঁ/ কিপূর্ণ পেশা। ঝুঁ/ কি শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক এমনকি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রসারিত হতে পারে। একজন সাংবাদিকের কলম যে কতটা তীক্ষ্ণ হতে পারে তার অনেক উদাহরণ পৃথিবীতে রয়েছে। একটি ধারালো অস্ত্র যা দিয়ে তাকে ঝুঁ/ কি নিতে হবে। আর ঝুঁ/ কি নেওয়া মানে চাপে থাকা। এটাই পেশার ধরন।

সাংবাদিকতা করবেন কিন্তু চাপ নেবেন না, ঝুঁ/ কি এড়ান-অসম্ভব! অন্তত এটাই প্রথাগত ও পেশাদার সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য। ঝুঁ/ কিমুক্ত এবং চাপমুক্ত সাংবাদিকতা মোটেও সাংবাদিকতা নয়, এটি অন্য কিছু – শুধু তেল দেওয়া।

চাপের মাত্রা, পরিমাপ নির্ধারণ করা হয় না – যদিও আমি জানি না। ধরুন একজন সাংবাদিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহ করেন, মৃ/ ত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে সবকিছুই ভুল। প্রতিবেদনটি ভুলভাবে উপস্থাপন/প্রচার করার পর প্রতিক্রিয়া কতটা ভ/ য়াবহ হবে তা কি আপনি কল্পনা করতে পারেন? সাংবাদিকদের এই চাপ নিতে হবে। ভুল করা এড়িয়ে চলুন, তথ্যকে বিকৃত হওয়া থেকে বাঁচাতে লড়াই করুন। মাত্র একটি শব্দ অনুবাদের ভুল পুরো ঘটনাকে বদলে দিতে পারে—তাই সংবাদ প্রকাশের আগে এবং পরে এই চাপ নেওয়া সাংবাদিকতার অংশ।

এবার আপনার উত্তরে আসা যাক, আপনি খবর সংগ্রহ করেছেন কিন্তু প্রকাশ না করার জন্য চাপ আছে- হুমকি, ভয়ভীতি বাংলাদেশের মতো দেশে এই পেশায় নতুন কিছু নয়। সংবাদপত্রের অফিসে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা, দেশত্যাগ সবই পেশার অংশ। এই চাপ প্রতিনিয়ত বহন করতে হয়।

সামাজিক চাপও রয়েছে, একটি সাধারণ ধারণা যে একজন সাংবাদিক হবেন সৎ, সাহসী, ক্যারিশম্যাটিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, সত্যবাদী, এমন একজন যিনি শত চাপের মুখেও অবিচল থাকেন: তবুও তিনি হতভাগ্য, মূলত নিম্ন মধ্যবিত্ত নয়। এই ভূমিকা রাখাটাও একটা চাপ, আপনি কি একমত নন??

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *