চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বোলিংয়ে তেমন ঝড় তুলতে দেখা যায়নি টাইগারদের। ২য় দিনের প্রথম সেশনে টাইগাররা ৩৩০ রানে অলআউট হওয়ার পর দিনের বাকি যে দুটি সেশন সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে পাকিস্তান, দাপুটে পারফরমেন্সে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্সকে হালকা করে দেয়। বাংলাদেশের টাইগারদের মধ্যকার বোলার যারা তারা কিছুতেই প্রতিরোধ অবস্থায় যেতে পারেনি। কোনো উইকেট না হারানোর মাধ্যমে সফরকারীরা দিন শেষ করতে সক্ষম হয়েছে ১৪৫ রান।
দিন শেষে বাংলাদেশ দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করতে আসা লিটন দাসকে প্রশ্ন করা হয় তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, মেহেদী হাসান মিরাজরা কি বোলিং লাইনআপের সবচেয়ে ‘পুওর’ বোলিং লাইনআপ? চট্টগ্রাম টেস্ট বোলিং বিভাগে এরা এমন পারফরমেন্সে গেলেন কেন? এমন প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন লিটন।
তাইজুল-রাহিদের হয়ে ব্যাট করলেন লিটন, ‘আপনি কীভাবে পুওর বোলিং লাইনআপ বলতে পারেন? যে কয়টা বোলার খেলছে সবাইতো টেস্ট বোলার। এবাদত, রাহি এরা দুজনেই টেস্ট বোলার এবং অনেক উপকারও করেছে, সাহায্য করেছে, উইকেটও নিয়েছে। তাইজুল-মিরাজকে নিয়ে তো সন্দেহই নেই। তো এখানে পুওর বোলিংয়ের তো কিছু নেই।’
লিটন কথা লড়াইয়ে জড়ালেও এবাদত-রাহিদের পারফরম্যান্স একেবারে তাদের পক্ষে নেই। এবাদতকে টেস্ট বোলার হিসেবে বিবেচনা করলেও ১০ ইনিংসে মোটে ৮ উইকেট তার। বোলিং গড় ৯১ এর উপরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সাফল্য পাননি স্বাগতিক বোলাররা।
যদিও একটা সুযোগ এসেছিল। ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাইজুলের বল সোজা প্যাডে গিয়ে লেগে যায় আবদুল্লাহ শফিকের। তবে তাইজুল আবেদনে তেমন আগ্রহী দেখাননি, উইকেটরক্ষক লিটনও বিষয়টি ধরতে সক্ষম হয়নি। তাই রিভিউ নেওয়ার দিকে যাননি অধিনায়ক মুমিনুল হক। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল, ডেলিভারি এলবিডব্লিউ হওয়ার তিনটি শর্তই পূরণ করেছে।
কেন তিনি রিভিউ নেননি সেটার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিটন বলেন, “রিভিউটা সম্পুর্নরূপে তাৎক্ষনিক একটি সিদ্ধান্তের বিষয়। সেই সময়ে মনে হচ্ছিল বল আগে ব্যাটে গিয়ে লেগেছে যার কারণেই আমরা রিভিউটার জন্য আবেদন করিনি। যদি মনে হতো যে বলটি আগে গিয়ে প্যাডে লেগেছে তাহলে আমরা অবশ্যই রিভিউ নিতাম, সেখানে কোনো সন্দেহ নেই।’