হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশার একটি পুরনো অডিও রেকর্ড। এ ঘটনায় সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দেন তিশা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের তামিম নামের এক সাংবাদিক এই অডিও রেকর্ড ফাঁস করেছেন।
তিশার দাবি, এই সাংবাদিক কয়েকদিন আগে তাকে যে টেক্সট করেছিলেন সেটা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী। এজন্যই ওই সাংবাদিককে ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
তিশা বলেন, আমি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তামিম নামের ওই সাংবাদিক আমাকে একটি টেক্সট পাঠিয়েছেন যা আমি বলতেও পারছি না। এরপর আমি খুব রেগে যাই। তাকে কল দেই।’
এই অভিনেত্রীর দাবি, সাংবাদিকদের ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ মতো আমি কিছু বলিনি। আমি শুধু একজন সাংবাদিককে এটা বলেছি। কারণ আমি মনে করি তিনি সাংবাদিক নন। একজন সাংবাদিক কখনই কাউকে এমন টেক্সট করবেন না।
ডিবি অফিসে যাওয়া প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘ডিবি অফিস আস্থার জায়গা। আমরা যারা সাইবার বুলিং এর শিকার, বিশেষ করে তারকারা এখানে আসে। হারুন স্যারের সাহায্য নেয়। আমিও ব্যতিক্রম নই। আমিও একজন তারকা। আমি বিগত দিনগুলোতে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। হ্যারেজমেন্টের শিকার হচ্ছি। ফলে আমার মনে হয়েছে, হারুন স্যারের কাছে আসলে তাদের একটা সাহায্য পাব। সেজন্যই এখানে আসা।’
এদিকে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনার পর ক্ষমা চেয়ে ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করার কারণ সম্পর্কে তিশা বলেন, আমি যে বিষয়ে লিখেছি তা নিয়ে অনেক বুলিং হচ্ছিল। তারপর আমি অনুভব করি যে এই একটি স্ট্যাটাস আসলে যথেষ্ট নয়।
এর আগে গত ১৬ নভেম্বর অভিনেত্রী তানজিন তিশা আত্মহননের চেষ্টা করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। তিনি ঢাকা মেডিকেল ও স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
তবে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর তানজিন তিশা ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, তিনি আত্মহননের চেষ্টা করেননি। তার ফুড পয়জনিং সমস্যা ছিল। ভুলে ঘুমের মেডিসিন নিয়েছিলেন।