কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আ. লীগের মেয়র প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আরফানুল হক রিফাত গত দুই মেয়াদে মনিরুল হক সাক্কুর কাছে হেরেছেন। তবে এবার সাক্কু হেরে গেলেন। বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। এছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো। এ সময় সাক্কু আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। কোরবানির ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কর্মকাণ্ডেও অংশ নেব। কর্নেল আকবর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন সাবেক মন্ত্রী সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। শনিবার বিকেলে নানুয়ার দীঘিরপাড়স্থ নিজ বাসভবনে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। তিনি যখন এসব কথা বলেন। এ সময় কুমিল্লা মহানগরীর ২৬টি ওয়ার্ড ও সদর আসনের ছয়টি ইউনিয়নের সাক্কুর অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাক্কুর ছোট ভাই আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু, বিএনপি নেতা নজরুল হক ভূঁইয়া স্বপনসহ দলের নেতারা বক্তব্য দেন। গত ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৪৩ ভোটে হেরে যান সাক্কু।
উল্লেখ্য, সাক্কু সব সময় বিএনপির প্রার্থী ছিলেন না। কখনো প্রত্যক্ষ কখনো পরোক্ষভাবে বিএনপির সমর্থন পেয়েছেন। তবে এবার নির্বাচনে না যাওয়ায় সাক্কুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি সর্বশেষ ২০১৭ সালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। সে সময় কুমিল্লা আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হন সাক্কু, যিনি বর্তমানে সংরক্ষিত নারী এমপি। সীমা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ২০১২ সালে আফজাল খানের কাছে হেরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র হন সাক্কু।