নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবশষে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতু গড়তে সক্ষম হয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন এ সরকার। চলতি জুন মাসের আগামী ২৫ তারিখ দলের একঝাক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীফ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর পরদিন ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একটি মহল ধ্বংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশের প্রতিটি থানায় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে।
উদ্বোধনের দিন পদ্মার দুই তীরে ইউনিফর্মে পাঁচ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাদা পোশাকে সক্রিয় থাকবে বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা সদস্য।
এর আগে রোববার (১২ জুন) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। সাংবাদিকরা সম্প্রতি সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ও সিলেটে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনা কি ষড়যন্ত্র?
এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো নাশকতা হতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। গোয়েন্দাদের কাছে কিছু খবর আছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নাশকতার হুমকি আমাদের আগেও ছিল, এখনো আছে।
এর আগে গত ৪ জুন মধ্যরাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটে, এবং আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন প্রায় পাঁচ শতাধিক। তবে কিভাবে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তা খুতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।