বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খাসলেদা জিয়া শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাকে নিয়ে প্রায় সময় নানা ধরনের গুজব সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে দলের নেতাকর্মীরাও নানা ধরনের বিভ্রান্তের সম্মুখীন হচ্ছে। এবার এই বিভ্রান্ত দূর করতে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিল বেগম জিয়ার পরিবার।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আর অবনতি হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তাই কোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে টেলিফোনে খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তার বোন সেলিমা ইসলাম। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুজব আমাদের কানেও এসেছে। তবে এগুলো সত্য নয়, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। তার অবস্থার আর অবনতি না হলেও তিনি জীবনমৃ/ত্যু/র সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এখনও তার লিভার, কিডনি এবং হার্ট ভালোভাবে কাজ করছে না। এছাড়াও তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে ভালোভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন। হাসাপাতালের চিকিৎসকরাও খালেদা জিয়াকে বাইরে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য সরকারকে বারবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার মানবিক আচরণ করলে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে এখনও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে এর আগেই এ বিষয়ে কয়েকবার কথা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বারবার অনুরোধ করেছি যেন মানবিক দৃষ্টিতে হলেও তিনি যাতে বিষয়টি বিবেচনা করেন। এদিকে, ২৭ দিন পর বাসায় ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই গেল ১৩ নভেম্বর আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলা সহ আরও একটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবং দীর্ঘ দিন তিনি পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরবর্তীতে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দেশে বৈশ্বিক মহামারি দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে বেশ কিছু শর্তের মধ্যে দিয়ে তাকে ছয় মাসের জন্য জামিন দেওয়া হয়। এরপর আরও তিন দফা এই জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে সরকার।