ষাটোর্ধ্ব সকল সরকারি ও বেসরকারি নাগরিকদের পেনশন সু্বিধাও আওতাধীন করার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে ‘সর্বজনীন পেনশন’ ব্যবস্হা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ৷ আপাতত ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো ব্যক্তি এ সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশন সুবিধার বিভিন্ন তথ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
উক্ত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এক হাজার টাকা করে টানা ৪২ বছর জমা রাখলে মাস শেষে পেনশন পাবেন ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা।১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা প্রদান শুরু করে এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি ঐচ্ছিক থাকবে, পরবর্তীতে বাধ্যতামূলক করা হবে।’
প্রাথমিক হিসাব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা, মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ ধরা হয়, তাহলে ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা প্রদান শুরু করে এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন।’
তিনি আরও জানান, যদি ৩০ বছর বয়সে কেউ চাঁদা প্রদান শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে, তাহলে অবসরের পর প্রতিমাসে ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা পেনশন পাবেন। তবে চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার টাকার বেশি হলে আনুপাতিক হারে পেনশনের পরিমাণও বেশি হবে। এটি একটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত চিত্র আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বাজেট বক্তৃতায় সর্বপ্রথম তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও পেনশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কিছুদিন পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্হা চালুর নির্দেশ দেন৷