দীর্ঘদিন ধরে নাটোরের গুরুদাসপুরে এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রেমিক ইকবাল হোসেন নামে যুকব। তবে পরবর্তীতে ইকবালের পিতা-মাতা এ বিষয়টি জানতে পেরে ঐ তরুণীর সঙ্গেই ইকবালের বিয়ের প্রতিশ্রতি দেন। আর এই সুযোগের দিনের পর দিন ঐ তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন ইকবাল।
তবে অ/নৈ/তিক স/ম্পর্ক স্থাপনের পর প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিয়ে না করার অভিযোগ উঠেছে। স্ত্রীর সম্মানের দাবিতে প্রেমিক ইকবাল হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই কলেজছাত্রী। সে ইকবাল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ব্রি-গারিলা গ্রামের সৈয়দ আলী মন্ডলের ছেলে। ইকবাল নাটোরের এনএস কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
প্রতারিত মেয়েটি ইকবালের প্রতিবেশী ও নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বলা হয়, ইকবাল একজন /মা//দ/কা/সক্ত। তার বাবা মা তাকে সুস্থ রাখার জন্য ওই মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে ইকবাল তার সাথে একাধি/কবার শারী/রিক স/ম্প/র্কে জড়ান। বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল গণি, মজিদ মন্ডল, মিজান ও এলাকার প্রধান জিয়া প্রামানিকসহ স্থানীয়রা বিয়ে দিয়ে ঘটনা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।
এদিকে /মা//দ/ক পু/নর্বাসন কেন্দ্র থেকে বাসায় ফেরার পর ওই তরুণীকে বিয়ে করতে রাজি হননি ইকবাল। ইকবালের পরিবারের সদস্যরাও মেয়েটিকে বাড়িতে ঢুকতে না দিয়ে /শ্লী/ল/তা/হা/নি করেন। স্ত্রীর মর্যা/দার দাবিতে গেটের সামনে অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছেন প্রেমিকা।
রোববার (১২ জুন) সকাল থেকে প্রেমিক ইকবালের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণী বলেন, আমাকে স্ত্রীর মর্যা/দা না দিলে /ম/রে যাওয়া ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। ইকবালের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে তার অভিভাবক কোনো ম/ন্তব্য করেননি।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে এখনো তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।