সম্প্রতি তেলের দামের বৃদ্ধিতে জনগণের চাপের সৃষ্টি হয়েছে তা লাঘব পাওয়া সম্ভব নয়। এতে প্রতিটি মানুষের জীবন যাবন খরচ তার হাতের নাগলের বাহিরে চলে গেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের তাদের আয় বাড়ে নাই কিন্তু খরচ মাত্রা বেড়েই চলেছে। সরকার লু/টপাট-দুর্নীতির খেসারত সাধারন জনগণের উপর পড়েছে। সরকারের দুর্নীতির ও টাকা পাচারের কারনে দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়েছে আর সেই সমন্বয় করতে তেলের দাম হঠাৎ কোনো আলোচনায় ছাড়া রাতা-রাতি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
যেই মানুষটা আগে সারাদিনে ৩০০ টাকায় অফিস যাতায়াত করতো সারাদিনের চা নাস্তা খাইতো তার এখন ৫০০ টাকা লাগতেছে। বাকি 200 টাকা তিনি কোথায় পাবেন? যেহেতু সে পাবে না, সে তার ব্যবহার কমিয়ে দেবে।কিছুদুর হাটবে তারপরে বাসে উঠবে।চা নাস্তা খাওয়া বাদ দিবে। অফিস থেকে ফেরার সময় যতক্ষণ শরীরে কুলায় ততক্ষণ হেটে হেটে বাসায় ফেরার চেষ্টা করবে।
বাস মালিক যদি মনে করেন বাস ভাড়া বাড়িয়ে আগের লাভ অব্যাহত রাখবে, এবার তা হবে না। মানুষ বাসে কম উঠবে। যারা নিয়মিত বাসে যাতায়াত করেন তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন। এই বিন্দুকে থ্রেশহোল্ড বলা হয়। মানে যার উপরে গেলে আর মানায়ে নেয়া যায়না। তেলের দামের 50% বৃদ্ধি সহনশীলতার সীমা অতিক্রম করেছে।
আরেকটা জিনিস খেয়াল করবেন, সরকার সমর্থকেরা কিন্তু এই দাম বাড়ার বেদনা টের পাইতেছে না। কেন পাইতেছে না বুঝতে পারছেন? পাইতেছে না কারণ তারা এতোই কামাইছে যে এই ৫০% দাম বাড়া তাদের কাছে নস্যি।
প্রসঙ্গত, মানুষের সাধ্যের বাহিরে চলে গেছে বর্তমান যে খরচ বেড়েছে এটি সহ্য করা অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। সরকারে এমন সিদ্ধান্ত জনগণের পক্ষে মেনে সম্ভবপর নয় কিন্তু চাপের মুখে কেউ কিছু বলার সাহস করছে না।