সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, দু/র্নীতি, লু/টপাট ও দুঃশাসনের কারণে মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে ঘৃণার চোখে দেখে। সর্বস্তরের মানুষ এই সরকারের পদত্যাগ চায়। তারা চলে না যাওয়া পর্যন্ত এদেশে কারোরই মঙ্গল সম্ভব নয়। আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারের পতন হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভাসানী ছাত্র পরিষদ আয়োজিত এই সভার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে ছাত্র সমাজের ভূমিকা’।
মান্না বলেন, আমরা যখন কর্মসূচি দেই, আওয়ামী লীগ তার পালটা কর্মসূচি দেয়। তারা গু/লি চালিয়ে আমাদের কর্মসূচিতে অশান্তি করে। আওয়ামী লীগ আন্দোলন ভাঙতে পারে, গড়তে পারে না। বঙ্গবন্ধুকে হ/ত্যার সময় তারা মিছিলও করতে পারেনি।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি এখন মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এখন বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে জোর দিয়েছে। চলমান যুগপৎ আন্দোলনে আগামী চার মাসের মধ্যে এই সরকারের পতন, চার মাসের মধ্যে নির্বাচন।
গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এক দফার দাবিতে একযোগে আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যেই আন্দোলনে সামিল হয়েছে মানুষ। তাই সরকারের পতন আসন্ন। সরকার যদি জনগণের দাবি মেনে না নেয় এবং অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, তাহলে জনগণ নিজেই আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করবে।
ভাসানী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাকিলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. ফয়জুল্লাহ নোমানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী আনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ। দুলাল হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান সাগর, ছাত্র নাগরিক ইউনিয়নের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো: তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, ছাত্রদলের সভাপতি মো. প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি মোল্লা মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল হাসান প্রমুখ। .