সরকার উন্নয়নের নামে দেশেকে নিজেদের লু/টপাটের রাজ্যে পরিণত করেছে। যার ফলে দেশের মানুষের সুখ-শান্তি বনবাসে চলে গেছে। দুর্নীতির কারনে দেশ আজ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশ ছোঁয়া সাধারন মানুষের কষ্টের শেষ নেই অথচ তাদের মন্ত্রী-এমপিরা বলছে দেশে সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে। তাদের চরিত্র দেশের মানুষের কাছে ফুটে উঠেছে সে কারনে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নীড়ন চালাচ্ছে বুঝতে পেরেছে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সরকার কোন পথে পালাবে, প্রস্তুতি নিতে বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী যা বললেন।
সরকার সবকিছুর ওপর ডাকাতের মতো নিয়ন্ত্রণ তৈরি করেছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গরিবের মোট চালের দাম ৬০ টাকা কেজি। এসব দেখে বোঝা যাচ্ছে দেশে ভয়ঙ্কর দুঃশাসন চলছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের জন্য জেলায় জেলায় আয়না ঘর নির্মাণ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জজনতার উত্তাল স্রোতে সেই আয়নাঘর তুলার মতো উড়ে যাবে। যতই আয়নাঘর বানান জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। আপনি কোন পথে পালাবেন আকাশপথে নাকি নৌপথে সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আপনাকে বিদায়ের দাবিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। আপনাকে যেতেই হবে।
রিজভী বলেন, কয়েকদিন আগে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দেবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম উল্টো। ওই বক্তব্যের পরপরই হাম/লার মাত্রা বেড়ে গেছে। শ্রীনগর, ফেনী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, পটুয়াখালীতে রক্তাক্ত হচ্ছে। পুলিশ দাড়িয়ে থেকে আওয়ামী লীগের দ্বারা এসব করছে। এটা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নিয়ম। কেউ যদি তার কথা বিশ্বাস করে তবে তারা ভ্রান্তিতে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশন ও ভোটকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে। গণতন্ত্রকে লাইফ সাপোর্টে আছে। কিন্তু আপনি ভুল করছেন।. ১৮ কোটি মানুষের দেশে এই স্বপ্ন পূরণ হবে না। যেখানে বিরোধী দলের নেতাদের ধরে নিজেদের মনমতো স্বীকারোক্তি আদায় করছে। আজ হাফিজুরকে কোন আইনে আটক রাখা হয়েছে জবাব দিতে হবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার মহাসচিব এসএম শাহাদাত, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সরকার বুঝতে পেরেছে তারা ক্ষমতায় থাকতে পার না এ কারনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধর পাকড় শুরু করেছে। তারা বিএনপির আন্দোলনের ভয়ে এসব করছে কিন্তু এসব করে বিএনপি দমনো যাবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।