পিএমএল-এন এবং পিপিপি পাকিস্তান সরকার গঠনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শনিবার রাতে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উভয় দলের নেতারা সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য একে অপরের পাশে দাঁড়াতে সম্মত হন।
সোমবার সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।
খবরে বলা হয়েছে, লাহোরে বিলাওয়াল ভুট্টোর বাড়িতে দুই দলের উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে পিপিপি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও পিএমএল-এন-এর সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পরে একটি ঘোষণায় বলা হয়েছে যে ‘রাজনৈতিক সহযোগিতার নীতি’ বিষয়ে পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে একটি ঐকমত্য পৌঁছেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে বাঁচাতে একমত হয়েছেন নেতারা। পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং তার বাবা আসিফ আলি জারদারি পিএমএল-এনের পরামর্শ নিয়ে দলের অন্যান্য নেতাদের সাথে আলোচনা করবেন। এ বিষয়ে আরও আলোচনা করতে সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান বলেছেন, ইমরানপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কারও সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন না।
তবে সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে তারা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন গহর আলী খান।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের সঙ্গে কথা বলার সময় গহর বলেন, ” আমরা পিপিপি ও পিএমএল-এনের সঙ্গে আলাপ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। তাদের সঙ্গে জোট করে আমরা সরকার গঠন করব না। তাদের সঙ্গে জোট গড়ার চেয়ে এককভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করাই ভালো।”
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের নির্বাচনে নওয়াজের দল ৭৫টি আসন জিতেছে। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে ১০১টি আসন পেয়ে কারাবন্দী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই নির্বাচনে এগিয়ে ছিলেন।
নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পায়নি। এ অবস্থায় নির্বাচনে দুই ও তিন নম্বর অবস্থানে থাকা নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।