পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৭টি আসনে জয়ী হয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার গঠন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পিটিআইকে পেছনে ফেলে কেন্দ্র ও পাঞ্জাব প্রদেশে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে।
এরপর জোট সরকার গঠনের জন্য অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছে ইমরান খানের দল। এতে সাবেক ক্ষমতাসীন দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। জিও নিউজের খবর।
খবরে বলা হয়েছে, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান, আসাদ কায়সার, আলী মুহাম্মদ খান এবং অন্যান্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। যেখানে নতুন কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হবে।
দলটি এর আগে নতুন কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সাথে জোট গঠনের কথা অস্বীকার করেছিল।
ব্যারিস্টার গোহর জিও নিউজকে বলেন, “আমরা পিপিপি বা পিএমএল-এনের সাথে যোগাযোগ করছি না।”
২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দলের চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ফলাফলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। এই দুটি দলই জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০৬টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯৭ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭১টি আসন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন এবং এমইউএম ১৭টি আসন।