ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অন্তরালে প্রতারণার ফাঁদ পেতে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেকেই। তবে তাতে কি! দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আয়তায় আনা হলেও গ্রাহকদের কি হবে? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত টাকার কি হবে?
আর এ ব্যাপারে এবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সাফ জানিয়ে বলেছেন, ই-কমার্সে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের দায় সরকার নেবে না।
তিনি বলেন, দেশে অন্তত ২০ হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। গ্রাহকরা কম মূল্যে পণ্য কিনতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর দায় সরকার নেবে কেন? তবে যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতি রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
শুক্রবার বিকেলে রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড়ে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। টিপু মুন্সি বলেন, ‘সরকার চায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ভালো করুক। এখন পর্যন্ত ১০-১২টা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।’
এর আগে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের আলোকে আটক করা হয় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে। আর এরপর থেকেই দেশের সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।