জুনায়েদ সাকি গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব নেবার পর থেকে একগ্রতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। তার কাজের প্রতি তিনি খুবই যত্নশীল এবং শ্রদ্ধাশীল। কাজকে তিনি অনেক প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কাজের প্রতি একগ্রতা দেখে দলের কর্মীরা অনেকটা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়। সম্প্রতি জুনায়েদ সাকি তার এক বক্তব্যে বলেছেন ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার কুইক্রেন্টালে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১২ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ছায়াতলে যারা বসবাস করে তাদের সুবিধা দিতে সরকার রেন্টাল-কুইক্রেন্টাল পদ্ধতিতে নেমেছে। এগুলি সাধারণত যুদ্ধের সময় জরুরী বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়। চার বছর পর এসব কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে না বলে জানা গেছে। কিন্তু ধাপে ধাপে নবায়ন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সাকি বলেন, যখন চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, তখন তা নবায়নের চেষ্টা চলছে। তারা নবায়নের নতুন সূত্র আবিষ্কার করেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ড. বিশ্বে একটি স্ট্রেস তৈরি হওয়ায় পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, শুধু বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নয়, এখন সরকার আমদানি নির্ভর, তারা কেন আমদানি করতে পারছে না? আমরা এত রিজার্ভ আছে. আসলে সবকিছুই ভেতর থেকে ফাঁপা হয়ে গেছে। প্রকল্পের নামে লুটপাট করে দেশের বাইরে টাকা পাচার করা হয়েছে। ফলে আজ আমাদের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো প্রয়োজনীয় তহবিল নেই। ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, দেশের উন্নয়নের কাজে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার নামই স্বার্থকতা এমনটাই মনে করেন দেশের জনগন। এ দেশ সবার তাই দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার ঐক্য হয়ে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়ন হলে সাধারণ মানুষের জীবনমানও অনেক উন্নত হবে।