আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৩ সালের শেষ দিকে অর্থাৎ ডিসেম্বরে অথবা ২০১৪ সালের প্রথম মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে। এদিকে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যথা সময়ে ভোট গ্রহণের সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইভিএম মেশিন এর মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সকল আসনে নির্বাচন ইভিএম মেশিনে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এবার সে বিষয়ে সুর পাল্টালো নির্বাচন কমিশন।
ইভিএমের নতুন প্রকল্প সময়মতো পাস না হলে আগামী নির্বাচন ব্যালটের মাধ্যমে হবে এমন প্রস্তুতি নিতে বলেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। রোববার (৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ইভিএমের নতুন প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনে এই মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে যা আছে তা দিয়েই ভোট আয়োজন করব।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য সরকারকে ৮ কোটি ১১১ লাখ ৪০ হাজার টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। সেই প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হচ্ছে বলে মনে হয় না।
এনআইডি সম্পর্কে রাশেদা বলেন, এনআইডি সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে না হওয়ায় কোনো সমস্যা নেই। এ বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা বসার পর আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করবো।
তিনি বলেন, ভোট ইভিএমে হলে এবং মন্ত্রণালয়ে এনআইডি চলে গেলে ভোট নিতে সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি প্রযুক্তিগত হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। আমরা তাদের কথাগুলো শুনেছি। আমরা কোনো মতামত দেইনি।
প্রসংগত, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি ও সমামনা দলগুলো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল বিএনপির জোটবদ্ধ ও সমমনা দলগুলো। তবে সব আসনে না হলেও প্রায় অর্ধেক আসনগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের সম্ভবনা বেড়ে গেল।