তৈমুর আলম খন্দকার হঠাৎ করেই তৃণমূল বিএনপির মহাসচিবের পদে এসে রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দেন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সিনিয়র রিপোর্টার সামছুর রহমান।
সংবাদ মাধ্যম: নির্বাচন নিয়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পেয়েছেন? আপনি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
তৈমুর আলম: সরকারের সঙ্গে আমরা কোনো জোটে নই, আমি আমার মার্কা নিয়ে লড়ব। আমাদের শ্লোগান হল ‘সুষ্ঠু রাজনীতি, সুশাসনের ভিত্তি’। দেশে শাসন আছে, কিন্তু সুশাসন নেই। যারা ক্ষমতায় তাদের জন্য এক আইন, যারা ক্ষমতায় নেই তাদের জন্য আরেক আইন। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি জিনিস বলেছি- ভোটার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা এবং সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
সংবাদ মাধ্যম: সরকারের সঙ্গে সমঝোতা ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি?
তৈমুর আলম: আমরা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করব না। আমরা মাঠের লোক। আমি তৃণমূল থেকে এসেছি। মোটামুটি ভালো সাড়া পাওয়া আছে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। আমরা সরকারের তাঁবেদারি করি না। এই আমাদের আলোচনা, তাই প্রমাণিত। আমি সব সময় সরকারের সমালোচনা করি। গণগ্রেফতার, গণহারে বিরোধীদের সাজা, এসব বন্ধ করা উচিত।
সংবাদ মাধ্যম: যারা নির্বাচনে যাচ্ছেন তাদের কারও কারও ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে ভয়, চাপ বা প্রলোভন দেখানো হয়েছে বলে কথা রয়েছে। কোনটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
তৈমুর আলম: তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কি না তা তদন্ত করা হোক। প্রমাণ ছাড়া সবাই কথা বলতে পারে। আমাদের কেউ প্রলুব্ধ করেনি। আট বছর আগে এই দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রথমে নিবন্ধন দেয়নি। হাইকোর্টে একটি রিট করে নিবন্ধন পেয়েছি।
সংবাদ মাধ্যম: প্রায় সব আসনেই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। কিন্তু অর্ধেক আসনেও প্রার্থী নেই আপনাদের।
তৈমুর আলম: তৃণমূল বিএনপি ২৯০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। ১৫১টি আসনে টিকে আছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা। আপীলে আরও কিছু ফেরত পাওয়া যায়। যাদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক আছে তাদের মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের প্রার্থীরা মাঠে থাকবে। কিন্তু প্রতিটি এলাকায় এখন লাঠিয়াল বাহিনী, আরমাস বাহিনী রয়েছে। আমাদের দাবি প্রতিটি এলাকায় এমপি-মন্ত্রীদের নিজস্ব বাহিনী নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সরকারকে টেক্কা দিতে না পারলেও ছাড় দেব না।