বাংলাদেশের বর্তমান আর্থিক অবস্থা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কে আব্দুল মোমেনের একের পর এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আকারে সমালোচনা উঠে আসছে। এ সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের অনেক নেতা বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা মূলক বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করছেন।
সম্প্রতি এসকল বিষয় নিয়ে আলোচানা করে গনমাধ্যমে সাড়া ফেলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না তিনি বলেছেন, ভারতের সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না । আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে তিনি এ কথা বলেন।
ভারত সরকারকে ক্ষমতায় থাকার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার যদি ভারতের কোনো সমর্থন ছাড়াই থাকতে পারে, তাহলে তিনি ভারত সরকারকে কেন বললেন? তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) মনে করেন, ভারতের সমর্থন ছাড়া এখন শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই।
মার্কিন সমর্থনেরও প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে রাজি করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছেন। আমেরিকা কেন বুঝবে, তুমি কি নিজেকে বুঝতে পারছ না? তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না।
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্র ইভিএমে ভোট দেয় বলেই বোঝা যায়। কিন্তু মার্কিন ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর কে কাকে ভোট দিয়েছে তা দেখানোর ত্রুটি রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই। আমেরিকা সেটা বুঝবে না। তারা (আমেরিকা) বলবে, ইভিএমে ভোট হচ্ছে, কেন (বিএনপি) নয়। যারা এটা বোঝায় তারা তাদের দুর্বল স্থান ধরতে চেষ্টা করে। তার মানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দুই নম্বর গোয়েন্দা হিসেবে বোঝা না গেলে, ভারতের সমর্থন না পেলে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
এই সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার বেশি দিন টিকতে পারবে না। এই সরকার যদি মজুদের সমস্যা সমাধান করতে না পারে, জ্বালানি সমস্যার সমাধান করতে না পারে, জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারে, তাহলে আজ না হোক কাল যেতে হবে। একা যেতে হবে। রাজপথে প্রতিবাদ না করলে দেশ শাসন করতে না পারার জন্য আমাকে ক্ষমা চাইতে হবে। এমন জায়গায় যান।
গত ৫২ বছরে বাংলাদেশ কখনো এত বড় সংকটে পড়েনি বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলার লোক রাস্তায় পাবেন না।
নাগরিক ঐক্যের মহাসচিব শহীদুল্লাহ কায়সার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মমিনুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএমএ কবির। এ ছাড়া নাগরিক ইউনিয়নে যোগদানকারী শিক্ষক মো. আবু তাহের, প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, আইনজীবী মো: আনোয়ার হোসেন, আইনজীবী জাকির হোসেন, প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান, প্রকৌশলী ইমরান হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি ও জ্বালানী তেলের সংকট এসকল বিষয় নিয়ে বর্তমান সরকার রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুকে দায়ী করছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতারা সরকারের দুর্নীতি কে দায়ী করছেন। অন্যদিকে সাধারণ জনগণ দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।