সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যে হু/মকির সৃষ্টি হয়েছে তার দায় এড়াতে সরকার বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছে। কিন্তু স্বীকার করছে না তাদের ব্যর্থতা। লাগাতার দু/র্নীতি ও লু/টপাটের কারনে আজ দেশের এমন অবস্থা তৈরী হয়েছে সে বিষয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তবে কিভাবে আবারও বিনা ভোটে ক্ষমতা দলখ করে রাখা যায় সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যো/গাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য হু/বাহু নিচে দেওয়া হলো।
রাতের উত্তর কোরিয়া। প্রায় পুরোটাই অন্ধকারে নিমজ্জিত। কেবল এক ছটা আলো দেখা যাচ্ছে রাজধানী পিয়ং ইয়াং-এ। আমরা আজ পতিত হয়েছি এই জায়গায়। মহাকাশ থেকে ছবি তুললে লোডশেডিং এ বিপর্যস্ত বাংলাদেশকেও এমনই দেখাবে। আমাদের অবস্থা আগামীতে হয়তো এর চাইতেও খারাপ হবে। জ্বালানি উপদেষ্টা মহাভন্ড তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেছেন দরকার হলে দিনেও বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হবে(লিংক কমেন্টে)। তার চাকুরীদাত্রী তো ইতিমধ্যেই জাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি উত্তর কোরিয়া স্টাইলে দেশ চালাবেন। তিনি জাতিকে দুর্ভিক্ষের জন্য তৈরি হতে বলেছেন, বলেছেন খরকুটো দিয়ে রান্না করতে এবং ভেননা গাছের তেল দিয়ে কুপি জ্বালাতে। মহাভন্ড তৌফিক এলাহী এক ধাপ এগিয়ে বললেন বিদ্যুতের কথা ভুলে যান – এখন রাতে পাচ্ছেন না, কদিন পরে দিনেও পাবেন না। বলেছিলাম না বাকশালী উন্নয়নের ঠাপে আমরা এক ধাক্কায় মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি।
ইন্টারেষ্টিং ব্যাপারটা হলো তৌফিক ইলাহী এসব আউল ফাউল বলার সাথে সাথে অনুষ্ঠানস্থলে ব্যবসায়ীরা উঠে দাঁড়িয়ে তার কাছে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস চান। কিছুদিন আগেও ব্যবসায়ীরা সরকারের কোন কর্তা ব্যক্তির সামনে এমন করে ফুসে ওঠেননি, বা সাহস করেননি। সরকারের বিরুদ্ধে এলিটদের দাঁড়িয়ে যাবার এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ আগাম সংকেত। রাত পোহাবার দেরি নেই পাঞ্জেরি!
প্রসঙ্গত, সরকার নিজের ব্যর্থতাকে আড়াল করে ভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে জনগণকে বুঝাবার চেষ্টা করছে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সরকার কোনো বিষয়কে তোয়াক্কা না করে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।