বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার জন্য গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বিভিন্ন ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে সারাদেশে। তিনি সারা বাংলাদেশের মানুষকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। তার দাবি যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।
তিনি সম্প্রতি গনমাশধ্যমে বলেন, মন্ত্রীরা সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজছে । সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া সরকারের মন্ত্রীরা আবোল তাবোল বলছেন। এই সরকারের পতনের জন্য যদি আমাদের জীবন দিতে হয়, জীবন দেব, তবে দেশের মানুষকে মুক্তি দেব।
শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে পল্টনে যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নূর এসব কথা বলেন।
নাটোরে যুব অধিকার পরিষদ নেতা নুরশাদকে কু/ পিয়ে ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নূর বলেন, সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে ছাত্রলীগ, যুবলীগের হেলমেট সন্ত্রাসীরা। তাই বিজয় নিশ্চিত করতে দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে হবে। এক দফা, এক দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো দখল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে, ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে আসতে বাধ্য করেছে। প্রশাসন হল চালালে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীও ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নামবে না। ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে না পারলে বুয়েটের আবরার, জাহাঙ্গীরনগরের জুবায়েরের মতো লাশ হতে হবে শিক্ষার্থীদের।
মশাল মিছিল শেষে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ, সহসভাপতি হোসেন নূর প্রমুখ ইত্যাদি।
জানান জ্বালানি তেল সংকটে সারা দেশের মানুষই বিপাকে পড়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যানবহন চালক ও ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ভোগান্তিতে রয়েছে সারা দেশের মানুষ। এসকল সমস্যার জন্য সরকারকে দায়ী করছে তারা। দ্রুত সমাধান না পেলে গণভবন ঘেরাও করার কথা ব্যাক্ত করেছেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।