নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়ী করা যাবে না, দায় সরকারের ওপরও বর্তাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না আসায় সে ধরনের প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে না।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন? এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি সিইসি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থি। সংবিধানে সভা সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলে হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে। এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন, কারণ ২০১৪ সালের নির্বাচন ছাড়া আগে কোনো সংঘর্ষ ও সহিংসতার আশঙ্কা তৈরী হয়নি। কারণ নির্বাচন ছিল সর্বজনীন।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের পক্ষে সভা-সমাবেশ করছে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনে পক্ষে-বিপক্ষে মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই এমন কোনো ঘটনা যেন না ঘটে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হলে কোনো সমস্যা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। ভোট করতে প্রয়োজন ১২ লাখ জনবল, কিন্তু কমিশনের আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকবল।ফলে কমিশনকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে জনবল নিতে হচ্ছে। সিইসি মন্তব্য করেন, কমিশনের একার পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সফল হবে।
৭ই জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না, এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই বিতর্কের সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল অংশ নিচ্ছে। নিবার্চন বয়কট করতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।