Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, জানলেন ওবায়দুল কাদের

সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, জানলেন ওবায়দুল কাদের

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছেন। কারন বিগত ‍দুটি সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হয়নি বলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। বিরোধী দল বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ কোন নির্বাচনে অংগ্রহন করবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এজন্য তারা আন্দোলন করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। এবার নির্বাচন কার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে সে সম্পর্কে যা বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে ভোট হবে। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের কর্তৃত্ব স্বাধীন কমিশনের হাতে থাকবে।

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইভিএম যাচাই-বাছাই নিয়ে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

নির্বাচনকালীন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কমিশনের কাছে তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রয়োজনীয় সব প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানকে ইসির তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা হবে। . নির্বাচনকালীন সরকারের কাজের পরিধি কেবল প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বর্তমান সরকার ইসির কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করব যা বর্তমান সরকার স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়গুলো আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মপরিধি কেবল আবশ্যকীয় দৈনন্দিন রুটিন কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বর্তমান সরকার ইসির কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য হারে ইভিএমের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য আমরা সিইসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতিকে আরও জনপ্রিয় ও সহজে ব্যবহারে ইসি এখন থেকে প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছিল তৎকালীন বিদায়ী কে এম নুরুল হুদা কমিশন। এ সময় আওয়ামী লীগও ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নেয়।

এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা গত নির্বাচনের সময় কমিশনে বলেছি। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের পার্টির স্ট্যান্ড হচ্ছে, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। সেই সিদ্ধান্ত আমাদের দিস ইজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার- আমরা ইভিএম পদ্ধতির পক্ষে, রাখঢাক করে কোনো লাভ নেই। এখানে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতিটা বৃদ্ধি করার কথা বলব।

ইভিএমের পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে ইভিএমসহ ইসির কার্যক্রমে প্রযুক্তি বৃদ্ধির ফলে সব কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়েছে। ইভিএম ব্যবহারে ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল ও নির্বাচনী জালিয়াতি ও ভোট চুরি বন্ধ হবে। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতিকে আরও জনপ্রিয় ও সহজে ব্যবহারে ইসি এখন থেকে প্রচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য ইসির গ্রহণযোগ্যতা, নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ইসির দায়িত্বশীল নিরপেক্ষ আচরণ, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ইভিএমে ভোটগ্রহণের পদ্ধতি বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া তিনি বিতর্কিত কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের রিটার্নিং অফিসার থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগসহ একগুচ্ছ দাবির কথা বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচন সরকারের অধীনে নয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থায় কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *