Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সরকারি হাসপালের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিভিল সার্জনসহ ফঁসলেন ছয়

সরকারি হাসপালের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ, সিভিল সার্জনসহ ফঁসলেন ছয়

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদকে ওএসডি করা হয়েছে। তাকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে গোপালগঞ্জের নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মোঃ জিল্লুর রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওএসডি করা হয়েছে। তাকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, বর্তমান চাকরি থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত বা স্ট্যান্ড রিলিজ ষষ্ঠ কার্যদিবসে বিবেচনা করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের ২৭ জুলাই দুপুরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষার ফির ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।

অভিযোগে বলা হয়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতাল বিদেশি যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠাত। তবে ল্যাবে পাঠানো নমুনার পরিমাণ রোগীর সংখ্যার চেয়ে কম দেখিয়ে পরীক্ষার ফি আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৭ জুলাই গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ।

আসামিরা হলেন- ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মোঃ রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তৃপ্তি সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম মুরাদ হোসেন, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. ঐ সময়. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, তারা সরকারি রসিদ বইয়ের বাইরে নকল রশিদ বই ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

About Babu

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *