২৩ বছর বয়সী এক সরকারি কর্মচারীকে অপহরণ করেছে একদল লোক। তারপর একজনকে ঘরে নিয়ে গিয়ে কপালে বন্দুক ধরে আদেশ দেন, বিয়ে করতে হবে। নইলে ফল ভালো হবে না। বিয়ের টেবিলে বসতে বাধ্য হয় বরপক্ষ। জোর করে অপহরণকারীর মেয়েকে বিয়ে করে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারের রেপুরা জেলায়।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্কুল শিক্ষক হন গৌতম কুমার।
গত বুধবার ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন তিনি। এ সময় একদল লোক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে। গৌতমকে জোর করে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তাকে বন্দুকের মুখে অপহরণকারীর মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
অভিযুক্তদের একজন রাজেশ রায়। গৌতম তার মেয়ে চাঁদনীকে বিয়ে করেছেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় যুবককে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে গৌতমকে স্কুল থেকে অপহরণের পরপরই প্রধান শিক্ষক পুলিশে খবর দেন। অবশেষে গৌতমের ফোনের লোকেশন পাওয়া গেল। পুলিশ গিয়ে গৌতমকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে অবশ্য বিয়ের যাবতীয় নিয়মকানুন সম্পন্ন হয়ে গেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গৌতমের পরিবারের সদস্যরা কিছুক্ষণ সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
তবে বিহারে এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ‘পাকডুয়া বি’ রাজ্যে বেশ সাধারণ। বিহারে এর আগেও অপহরণ ও জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয় আদালত আগের একটি মামলায় রায় দিয়েছিল যে এ ধরনের বিয়ে আইনত বৈধ নয়।