বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সাড়ে ৬ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে ইউএনও-ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব উত্থাপিত হতে যাচ্ছে। বৈঠকে এসব প্রস্তাব পাস হলে তা নতুন চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সাতটি মন্ত্রণালয় ও কয়েকটি অধিদপ্তরের জন্য ৬ হাজার ৪০৯টি নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ। সচিবদের কমিটির অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পেলেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নির্বাচনের আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যেসব মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নতুন পদ সৃষ্টি হচ্ছে
নতুন সৃষ্ট ৬ হাজার ৪০৯টি পদের মধ্যে নৌবাহিনীর নৌ-সদরে ১৫টি, কারা অধিদপ্তরের অধীন মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারারক্ষীর ৬০টি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ছয়টি (ক্যাডার পদ), গাজীপুর, রংপুর ও বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতের জন্য ৮৪টি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ১৫টি, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের ৯টি, আটটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয় হাজারটি, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি রংপুরে ১১০টি, শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি জামালপুরে ১১০টি পদ রয়েছে।
এর মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পুরো সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদ করা হবে। এ জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শ্রম ও কর্মসংস্থানের ৫৮টি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ৩৭টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে অর্থ বিভাগ দুই মন্ত্রণালয়ে মোট ২১টি পদের অনুমোদন দিয়েছে।
তবে নির্বাচনের আগে এই ব্যাপক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সরকার বিরোধীরা নানা ধরনের মন্তব্য করে চলেছেন। তারা দাবি করছেন, এটা হবে নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনদের নিয়োগ বানিজ্য।