সরকারি চাকরির নিয়ম না মেনে এক নারীকে অফিসের চেয়ারে বসিয়ে ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ছবিটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে।
বিভিন্ন উপজেলার সরকারি কর্মচারীদের মধ্যেও রয়েছে সমালোচনা। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের সার্টিফিকেট শাখায় কর্মরত সার্টিফিকেট সহকারী আলাল মিয়ার বিরুদ্ধে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংস্থাপন বিভাগের প্রশাসনিক কর্মচারী মো. ছায়েদুর রহমান খান বলেন, সরকারি চাকরি বিধিমালায় সরকারি অফিসে কর্মচারী ছাড়া অন্য কারও ছবি তুলতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে সার্টিফিকেট সহকারী মো. আলাল মিয়া বলেন, সেদিন অফিসে পিকনিক ছিল। এছাড়া যে নারী ছবিটি তুলেছেন তিনি তার নিজের বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি তার স্ত্রী কি না সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।
জানা যায়, সার্টিফিকেট সহকারী মোঃ আলাল মিয়া স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে পতিতাবৃত্তিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে সরকারি অফিসে অন্য মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার কাকিনা চাপরতাল গ্রামের আমির আলী নামে এক ব্যক্তি সনদ সহকারী আলাল মিয়ার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে নারী কেলেঙ্কারির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি জানি সার্টিফিকেট সহকারী আলাল মিয়ার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসক ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, অফিস কক্ষে সরকারি অফিসের চেয়ারে বসা কর্মচারী/কর্মচারী ছাড়া ছবি তোলা বা অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়। যা সরকারি চাকরির নিয়মের বাইরে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।