গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে তারা প্রমাণ করেছে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে না। জনগণের ঐক্য হলেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। সুতরাং সমস্ত বিভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, তাহলেই জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নেমে আসবে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে রাশেদ এসব কথা বলেন। বিভিন্ন মামলায় আটক রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে জনঅধিকার পরিষদ। সকল রাজবন্দি, আলেম-ওলামাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জল, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন ও যুব অধিকার পরিষদ বগুড়া ধনুট উপজেলার নেতাকর্মীরা এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। আজ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভুয়া নির্বাচন পরিচালনা করেছে। জনগণ এই নির্বাচন মেনে নেয়নি। সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেছে। আর ১৪ সালের মতো কুত্তা-বিড়াল, ভেড়া ও বানরের পাল ঘোরাঘুরি করেছে।
নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে, তারা ভোটের হার নিয়ে প্রতারণা করেছে। শোনা যায়, ব্যালট পেপার বাক্সে সিল করে রাতেই ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়। যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গেলেও ভোটের হার কিছুটা বেশি দেখানো যায়। এখন এই সরকার বলছে আমেরিকা, ইউরোপ, জাতিসংঘ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে, অভিনন্দন জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ আমাদের আন্দোলনের ব্যর্থতা অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু আমরা কি আসলেই ব্যর্থ? সরকার কিভাবে নির্বাচন করেছে, সেটা তো সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সাহেব বলেই দিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জেলে, গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে বাংলাদেশকেই ওরা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
উচ্চ পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় মানুষ ভাতের পরিবর্তে আলু খেত। কিন্তু এখন আলুর দাম এত বেশি যে আলু খাওয়ার সুযোগ থাকবে না। একদিকে সরকার ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি বন্দী রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে এই ডামি সরকার দেশকে বড় কারাগারে পরিণত করেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার বিকল্প নেই।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতেমা তাসনিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন। , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।