সাধারণত কবিতা লিখতে ও পড়তে আমরা সকলেই পছন্দ করি। তবে সেই কবিতা লিখেই চাকরি হারানোর ঘটনা অনেকটা অবাক করা হলেও সম্প্রতি এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মো. সাইদুর রহমান নামের এক সিনিয়র সহকারী সচিবের সঙ্গে। খোঁজ নিয়ে নিয়ে যায়, সরকারপ্রধানকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাইদুর রহমানের লেখা ঐ কবিতার মধ্যে রয়েছে অশ্লীলতা।
‘রহমান হেনরি’ ছদ্মনামে অশ্লীল ভাষায় কবিতা লেখার জন্য ফেসবুকে চাকরি হারান তিনি। সাইদুর রহমান জাতীয় নদী রক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক ছিলেন। ১৩ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে ‘অসদাচরণের’ দায়ে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইদুর রহমান তার ফেসবুক আইডি ‘রহমান হেনরি’ থেকে ৮ অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭টা ৪৬ মিনিটে ‘রহ/মান হেনরি’ ছদ্মনামে একটি অ/শ্লী/ল, অশালী/ন ও আপ/ত্তিকর কবিতা প্রকাশ করেন, যা অশা/লীন/ ও অনুচিত আচরণ। একজন সরকারি কর্ম/চারীর।
প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধি মোতাবেক অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি একটি ব্যক্তিগত শুনানি চান কিনা। তার লিখিত উত্তর এবং ব্যক্তিগত শুনানির বিবৃতি সন্তোষজনক বলে বিবেচিত না হওয়ায় তদন্তের জন্য অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছিল।
তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা মতামত দেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে বরখাস্তের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হলফনামায় এসব তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা শেষে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের নানা সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছেন সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাইদুর রহমান। সরকারের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা হয়ে তার এমন কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারছে না কেউ।