ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। এছাড়াও তিনি সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন আ.লীগের অধীনে আর কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে। নির্বাচন কি? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আমরা কী নির্বাচন করব? আমি ২০১৪ সালে রঙিন নির্বাচন দেখেছি।
তারা বিনা ভোটে সংসদে গিয়ে সংসদ দখল করেছে। ২০১৮ সালে নিশিরাতে ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা সবকিছুর খোঁজখবর রাখছি। স্পষ্টতই, জাতীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া বাংলাদেশে ২০২৪ সালে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন আসছে, এবারের নির্বাচনে আবার ব্লুপ্রিন্ট তৈরির চেষ্টা করলে বিএনপি দাঁতভাঙা জবাব দেবে। নির্বাচন হবে ব্যালটে, নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
কামরুল হুদার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. একরামুল হক বিপ্লব, অ্যাডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন হেনা ও চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জিএম তাহের পলাশী প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ মজুমদার, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছট্টু, উপজেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দুলাল, পৌর যুবদল নেতা মো. হাসান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ হলো বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। দলটি পরপর তিনবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। জনগনের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কারণেই তারা বারবার নির্বাচিত হয়েছে এবং দেশ জনগনের সার্বিক মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।