Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সরকারকে ঋণ করে ঘি না খাওয়ার পরামর্শ

সরকারকে ঋণ করে ঘি না খাওয়ার পরামর্শ

ঋণ এমনি একটি জিনিস যেইটা আসলে আত্নার স্বাধীনতা নষ্ট করে দেয়। ঋণ নিয়ে যদি সেই ঋণ সময় মতো পরিশোধ করা না হয় তাহলে দেখা দেয় নানারকম সমস্যার। বিভিন্ন কারণে এক দেশ অন্য দেশের কাছ থেকে বিপুল আর্থ ঋণ নিয়ে থাকে তবে সময়মতো সেই ঋণ পরিশোধ করা না গেলে তখন দেখা দেয় মুদ্রাস্ফীতি এবং যার কারণে সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ সইতে হয়। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দিয়েছেন যে ঋণ করে ঘি না খেতে।

আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সীমিত আয়ের লোকেদের রক্ষা করা যারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রভাব থেকে সবেমাত্র মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং সেইসাথে সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

অর্থনীতিবিদদের মতে, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে চাপের অর্থনীতি। তাই এবারের বাজেটে প্রকল্পে অর্থায়নে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দামের অস্থিরতা রোধে ভর্তুকি বাড়ানো জরুরি। করোনা আতঙ্ক থেকে সেরে উঠেছে এবং অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। খাদ্য সংকটে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি তীব্রভাবে বেড়েছে। যার গরম হাওয়ায় দেশের বাজারেও বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। নাজেহাল একজন সাধারণ মানুষ।

এমন বাস্তবতা আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে, তাই এবারের প্রত্যাশাও একটু ভিন্ন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাংকের (ঢাকা কার্যালয়) সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়েনি। যার কারণে এবারের বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। আগামী বাজেটে এটাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নিম্ন ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা রক্ষা করা। চাপে পুরো অর্থনীতি। তাই এবার প্রজেক্ট নেওয়ার আগে কয়েকবার ভাবতে হবে।

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, যেসব প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে সেসব প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করে শেষ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে আমাদের অর্থনীতি ও জনগণ সুফল পাবে। অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, এমন ঘাটতিতে যাওয়া ঠিক হবে না। কারণ ঘাটতি যত বড়, বোঝা তত বেশি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ঘি ধার করে লাভ নেই।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক বার্তা হলো, ঘাটতির বাজেট যেন বেশি দীর্ঘ না হয়। বিটিএমএ সভাপতি মো. আলী খোকন বলেন, স্থানীয়ভাবে ঋণ নিলে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়বে। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করি বাজেটে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর ওপর কোনো ঋণের বোঝা চাপানো হবে না। এবারের বাজেটে রাজনৈতিক চাপ একপাশে রেখে অর্থনৈতিক চাপকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আর বাজেট বাস্তবায়নে সংসদীয় ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্লেষকদের মত।

যাই করা হোক না কেনো সেইটা জনগনের মঙ্গলের জন্যই করা হবে এমনটা আশা করেন সবাই। কেননা সবকিছুর মূলেই রয়েছে জনগন। জনগন ছাড়া কোনো কিছু চিন্তা করা অসম্ভব। জনগনই সকল শক্তির উৎস। তাই অধিক পরিমাণে ঋণ না করে দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে না দেবার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *