সিলেটেসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রান সমঘী পাঠানো হচ্ছে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজে না খেয়ে অন্যদের সহযোগীতা করছে। এ বিষয় নিয়ে এবর পিনাকী ভট্টাচার্যের যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাস সম্প্রতি বেশ ভাইরাল হয়।
তিনি তার ওই স্টাটাসে লেখেন আজ দেখলাম জামায়াতে ইসলামীর আমীর পায়ে হেঁটে সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন। পানির প্রবাহে ভদ্রলোক ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না, তবে নিজেই নেমে এসেছেন। তার উপরে পানির নিচে তার নিজের ঘর দেখলাম।পোগতিশীল বাঙ্গালীদের কাছে জামাত যুদ্ধাপরাধীদের দল, তাই কলেজ কেটে রান্না করলেও বাঙ্গালী পোগীতিশীলরা বলবে, নুন কম হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ হুনকে মেরে ফেললেও বলবে, হুনের মরার স্বপ্ন কতদিনের ছিল। স্বপ্ন সত্য হয়েছে, ধন্যবাদ
তাহলে আজকের বাংলার পোগাতিশীলার বলশেভিক পার্টির বাংলাদেশ শাখা আওয়ামী লীগ কোথায়? যেখানে বেচারা লেনিন, কার্ল মার্কস ও ভলতেয়ার।
এ প্রসঙ্গে ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাস স্মরণ করতে পারি। তছনছ হয়ে গেছে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূল। মাওলানা ভাসানী 102 ডিগ্রি জ্বরে উপশমের জন্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমরা যদি সরকারের আশায় না বসে থাকি, তাহলে আমরা কাউকে বাঁচাব না, কারণ তারা আসেনি, আসবে না।
ইতিহাস ঘুরে যায়। আজ কেউ আসেনি। পাকিস্তানি শাসকদের ভূত আজকের আওয়ামী লীগে আসবে না। এই বন্যা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটা আওয়ামী তথাকথিত উন্নয়নের সৃষ্টি। যেকোনো উপায়ে সিলেটের বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনার যা কিছু আছে তার পাশে দাঁড়ান। মনে রাখবেন ফেরাউনের উত্তরসূরি কেউ আসবে না। সময় হলে দেশবাসী ওদের হশ্চাতে পুরা পদ্মাসেতু ভরে দিয়ে আজকের অবহেলার প্রতিশোধ নেবে।ঈশ্বর করুণাময় হন। আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করুন। নির্যাতিতদের এটাই একমাত্র ভরসা।
উল্লেখ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান জানান, বন্যা কবলিত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৯০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংগঠন একসঙ্গে কাজ করছে।