বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বলা যায়, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এবং দেশ উন্নয়নের রাস্তায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের সুদুরপ্রসারি পরিকল্পনার মাধ্যমে এমনটি ঘটেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে যেটা ইতিমধ্যে বহির্বিশ্বের নজরে এসেছে।
বাংলাদেশ এখন অনেক অগ্রসর হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আমরা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জমি দিচ্ছি, বিনা পয়সায় বাড়ি দিচ্ছি। শিক্ষার সুযোগ আমরা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি।
রোববার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২২’ প্রতিযোগিতায় সেরাদের পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞান চর্চা ও আধুনিক প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শি/”শুদের সম্পৃক্ত করে পুরস্কার প্রদানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শি’/শুরাও কোনো না কোনোভাবে তাদের প্রতিভা দেখাতে পারে।
‘তাই তাদের আমাদের সাথে নিয়ে আসতে হবে এবং তারা আমাদের সন্তান, আমাদের আত্মীয়। তাই সবাইকে তা মনে রাখতে হবে।’
সবাইকে পথ চলার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজ নতুন প্রজন্মকে বলবো সবাইকে নিয়ে হাঁটতে। তবেই না আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারব। কাজেই সেটিই আমি চাই।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রান্ত থেকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ড. তাজুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি দেশের উন্নয়নের জন্য মানসিকতা সৃষ্টি বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য এখনই সৃষ্টি হতে হবে যাতে করে দেশ শীঘ্রই উন্নতির শাখায় পৌঁছায়।