মানুষের কর্মকান্ড ও চিন্তা-ভাবনা হলো পরিবর্তনশীল। তাই মানুষ মনের খেয়ালে কখন কি করে বসে সেটা নিজেও অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেনা ফলে তাকে ভোগ করতে হয় তার কাজের খুব দুঃখজনক কর্মফল। অনেক সময় দেখা যায় মানুষ রাগের বর্শবর্তী হয়েও অনেক অনাকাঙ্খিত কাজ করে ফেলে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে চকরিয়া পৌর আ’লীগের সম্মেলনে প্রকাশ্যে নেতাকে পিটালেন এমপি জাফর।
কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম চকরিয়া টাউন আওয়ামী লীগের সভায় হাজার হাজার মানুষের সামনে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মারধর করেছেন। পরে তার নির্দেশে ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা মিসকাত খোকার নেতৃত্বে ওই নেতার ওপর দ্বিতীয় হামলা চালায়। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাতে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
নগরীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে পুকপুকুরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সংসদ সদস্য জাফর আলম হঠাৎ আমার ওপর হামলা ও মারধর করেন। পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড। পরে তার নির্দেশে সংসদ সদস্য আমিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী ও মিসকাত খোকার অনুসারীরা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ। যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে আমার পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ হামলার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া সাংগঠনিক দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রনজিত দাস বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা হয়। এ সময় তার অনুসারীরা এসে তাকে মারধর করে। এ নিয়ে গোটা উপজেলায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আলমগীর হোসেন বক্তব্য রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় সংসদ সদস্য জাফর আলম তাকে বলেন, তিনি বক্তব্য দিতে পারবেন না। একপর্যায়ে কেন বক্তব্য দেওয়া যাচ্ছে না তা জানতে চান আলমগীর।
এ সময় জাফর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে আলমগীরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চড় মারেন। এ সময় আলমগীরের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা মিসকাত খোকার নেতৃত্বে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আওয়ামী লীগ নেতারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।
প্রসঙ্গত, মানুষ বলতেই ভুল করবে কিন্তু সেই ভুলের মাশুল যে তাকে অনেক খারাপভাবে দিতে হবে সেটা অনেকেই অনেক সময় বুজতে পারেনা। সবার সামনে এমপি জাফর আওয়ামী লীগের নেতাকে সবার সামনে পেটালেন। ঘটনাটি আসলেই খুব দুঃখজনক।