শেখ হাসিনা হলেন বাংলাদেশের বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি তার দক্ষতা দিয়ে পরিচালনা করছেন দেশ ও নিতাকর্মীদের। দল যেটাই করা হোক না কেনো দলের প্রতি ও দলের প্রধানের প্রতি নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা ও ভক্তি থাকা উচিত। আর তেমনটিই রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ রাকিব হোসেনের প্রতি সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন ৭ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
গত ১৫ জুন গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়েছেন ৭ মেয়র প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ রাকিব হোসেনের প্রতি সমর্থন দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৮ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী এসএম নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ্।
এর আগে গত ২৫ মে বিকেলে গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এম বদরুল আলম (বদর)। পদত্যাগ করা প্রথম প্রার্থী ছিলেন তিনি।
এম বদরুল আলম আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রাকিব হোসেনকে সমর্থন করছেন। গত ৮ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোপালগঞ্জের উদয়ন রোডস্থ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র পদ থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী (পপা)।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন অসাম্প্রদায়িক বাংলার জন্য ব্যয় করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তাঁর রক্তের ঋণে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতা-মাতা ও পরিবারকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ‘৭৯ সাল থেকে প্রতি মিনিটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বোপরি তিনি আমার নেত্রী। তাই তার ইচ্ছানুযায়ী আমি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি এবং ১৫ জুনের নির্বাচন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর চাচার হয়ে কাজ করে যাব।
এদিকে শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী পয়েন্টে এক সমাবেশে মেয়র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সভাপতি জিএম সাহাব উদ্দিন আজম তার সমর্থক ও ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের প্রিয় নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নির্দেশে গোপালগঞ্জের সকল কাজ চলছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রাকিব হোসেনকে সমর্থন জানাচ্ছি।
একই দিন বিকেল ৫টায় আরেক মেয়র প্রার্থী শ্রমিক লীগ নেতা মো. রেজাউল হক সিকদার (রাজু) গোপালগঞ্জ নগরীর সোনাকুর এলাকায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মেয়র পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন এবং তাকে প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রাকিব হোসেন।
অপর মেয়র প্রার্থী দিলীপ কুমার সাহা (দীপু) শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের সিকদারপাড়ায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রাকিব হোসেনকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে একই অনুভূতি প্রকাশ করেন।
এবার গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৭টি ওয়ার্ডসহ ১৫টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজন প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং বাকি ১০ প্রার্থীর মধ্যে এ পর্যন্ত আট প্রার্থী মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের একজন প্রার্থী রয়েছেন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন একজন আদর্শবান প্রধানমন্ত্রী তেমনি দলের নেতাকর্মীরাও আদর্শবান। তাই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে তারা রাকিব হোসেনকে সমর্থ জানিয়ে সরে দাড়িয়েছে। এটি সত্যিই খুব ভালো লাগার একটি বিষয়।