পানির নিচে সারি সারি কঙ্কাল, জাহাজ! জলদস্যু গল্প বা গুপ্তধন রহস্য উপন্যাস নয়। আসলে সমুদ্রের নিচে এমন একটা জায়গা আছে। চক দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি সমুদ্রতলের সমুদ্রতলের ছবি দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
ডুবে যাওয়া জাহাজের ছবি দেখে অনেকেই বলছেন এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডুবো কবরস্থান।
জাহাজ ও বিমানের ধ্বংসাবশেষ
সমুদ্রের নিচে গভীর অন্ধকার। সাদা বালি এবং তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মানুষের কঙ্কাল, জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এবং বিমান। বর্তমানে ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থান তৈরির কাজ চলছে।
শুধু তাই নয়। গভীর সমুদ্রের তলায় নৌবাহিনীর জাহাজ, জাপানি ট্রাক এবং পুরানো ড্রাইভিং স্যুটও পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো ইতিহাস ধ্বংসের প্রমাণ। সমুদ্রের তলদেশে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ।
কিছু ধ্বংসাবশেষ অপারেশন হেলস্টোনের সময় ডুবে যাওয়া জাহাজ এবং বিমানের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অপারেশনে 4,500 জাপানি সৈন্য মারা যায়। দ্য সান জানায়, অভিযানে শত শত বিমান এবং কয়েক ডজন জাহাজ ডুবে গেছে। দুই দিনের অপারেশন হেলস্টোন 250 জাপানি বিমান ধ্বংস করা হয়. বিপুল সংখ্যক জাপানী সৈন্য নিহত হয়।
এছাড়াও এই যুদ্ধে 40 মার্কিন সেনা নিহত হয়। পানিতে যে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে তা যুদ্ধজাহাজ ও বিমানের। পাপুয়া নিউ গিনি, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে সমুদ্রে অনুরূপ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও পানির গভীরে পাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি ট্রাকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। হকি মারু জাহাজের ধ্বংসাবশেষে এখনও গাড়ির টায়ার, হেডলাইট এবং ফ্রেমসহ অন্যান্য জিনিস পাওয়া গেছে।
আজ পানির নিচে পড়ে থাকা ফাইটার জেটের পৃষ্ঠে প্রবালের একটি স্তর জমেছে। বিমানের অলিন্দ এখন সামুদ্রিক প্রাণীদের আবাসস্থল।
ছবিতে মানব কঙ্কালও দেখা যাচ্ছে। তাই এই স্পটটি চালকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
তবে এই ‘অভিশপ্ত’ জায়গা নিয়ে কুসংস্কারের শেষ নেই। অনেকের দাবি, যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের অতৃপ্ত আত্মা এখনও এই গভীর জলে রয়ে গেছে।