এই সপ্তাহের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া G-২০ সম্মেলনে যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের আমন্ত্রণ পত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়ার’ শব্দের পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠে। ভারত সরকার কি আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে দেশের নাম পরিবর্তন করেছে? খবর এনডিটিভি।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু G-২০ নেতাদের এবং মুখ্যমন্ত্রীদের ৯ সেপ্টেম্বর নৈশভোজে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ পত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়ার’ শব্দের পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতই প্রথম এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার অফিসিয়াল নাম পরিবর্তন করে। ‘ভারত’ শব্দটি সংবিধানেও আছে। সংবিধানের ১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া, অর্থাৎ ভারত, রাজ্যগুলোর একটি কেন্দ্র হবে।
G-২০ সম্মেলনে যোগদানকারী বিদেশী অতিথিদের জন্য ‘ইন্ডিয়া, দ্য মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ শিরোনামের একটি পুস্তিকা প্রদান করা হচ্ছে। সেখানে দেশের হাজার বছরের সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক নীতি তুলে ধরা হয়েছে।
পুস্তিকাটির শুরুতে বলা হয়েছে, ‘ভারত মানে ইন্ডিয়া। যা ইতিহাসের আদিকাল থেকে জনগণের সম্মতিতে সরকার ব্যবস্থার অংশ। ভারত দেশটির সরকারী নাম। সংবিধানে এবং ১৯৯৬-৪৮ সালের আলোচনায়ও এর উল্লেখ আছে।’
এ অবস্থায় দেশটির সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নরেন্দ্র মোদির সরকার কি এই বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম বদলের প্রস্তাব পেশ করবে?